প্রতীকী ছবি।
ভারতে তৈরি করোনার টিকা কোভ্যাক্সিনে বাছুরের দেহরস রয়েছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা গৌরব পান্ধী। নেটমাধ্যমে তাঁর এই দাবি ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সেই দাবি খারিজ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভুল ভাবে তথ্য উপস্থাপিত করে কোভ্যাক্সিনে বাছুরের দেহরস থাকার দাবি করা হয়েছে। মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোভ্যাক্সিনে সদ্যোজাত বাছুরের দেহরস (সিরাম) নেই।’
পান্ধীর দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’ (ডিসিজিআই)-র কাছে তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) বিকাশ পাটনি নামে এক ব্যক্তি এ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। সংস্থার তরফে পাঠানো জবাব থেকেই বাছুরের দেহরস থাকার ‘তথ্য’ জানা গিয়েছে। টুইটারে সেই জবাবের ‘স্ক্রিনশট’ দিয়ে তিনি লেখেন, ‘মোদী সরকার স্বীকার করেছে, কোভ্যাক্সিনে ২০ দিনের কম বয়সী বাছুরের দেহরস থাকে। বাছুর মেরেই তা সংগ্রহ করা হয়। এই তথ্য আগেই জানানো উচিত ছিল সরকারের। এই ঘটনায় মানুষের ভাবাবেগ আহত হতে পারে।’
দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি)-র সহায়তায় কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (বিবিআইএল)। ভারত বায়োটেকের তরফে বুধবার বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের উপাদানের মধ্যে বাছুরের দেহরস নেই। টিকা তৈরির সময় ভেরো সেলের বৃদ্ধির জন্য বাছুরের দেহরস ব্যবহার করা হয়। টিকা প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার সময়ই সেই ভেরো সেলগুলিই পুরোপুরি ধ্বংস হয়। পোলিও, জলাতঙ্ক প্রভৃতি বেশ কিছু রোগের প্রতিষেধক প্রস্তুতির সময়ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।