বারুইপুরে রাস্তার পাশেই চলছে বেআইনি নির্মাণকাজ! —নিজস্ব চিত্র।
জলাভূমির উপরেই তৈরি হচ্ছে বহুতল। নেওয়া হয়নি অনুমতিও! বেআইনি নির্মাণকাজের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরে। অভিযোগ, বারুইপুরের চরণ এলাকায় পুকুর বুজিয়ে তৈরি হচ্ছিল ওই বহুতল। নবগ্রাম পঞ্চায়েতের জনবহুল এলাকায় মূল রাস্তার পাশেই রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি নির্মাণকাজ! নির্মাণকারীদের অবশ্য দাবি, পঞ্চায়েতের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই কাজে হাত দেওয়া হয়। বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কানন দাস বলছেন, ‘‘আমরা এমন কোনও খবর পাইনি! স্থানীয় পঞ্চায়েত মারফত পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’’
প্রসঙ্গত, এ ভাবে পুকুর বুজিয়ে বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা বিপদের ঝুঁকি। জলাভূমির উপর যেখানে মাটি নরম, সেখানে বহুতল তৈরি হলে যে কোনও সময় তা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূল রাস্তা সংলগ্ন জলাজমিতে এই ভাবে নির্মাণকাজ চালানো আরও বিপজ্জনক। এর পরেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কী ভাবে দিনেদুপুরে মূল সড়কের পাশেই পুকুর বুজিয়ে এই বেআইনি নির্মাণকাজের বিষয়টি তাঁদের চোখ এড়িয়ে গেল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
ওই বহুতলের নির্মাতা আজগর খান ও আলাউদ্দিন মোল্লার দাবি, পঞ্চায়েতের থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরেই নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। পঞ্চায়েতের দফতরে জমা দেওয়া হয়েছিল যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথিপত্র। মিলেছিল অনুমতিও। তবে এ কথা মানতে নারাজ পঞ্চায়েত। তাদের দাবি, আবেদনপত্র জমা পড়লেও এখনও নির্মাণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তবে দু’পক্ষের টানাপড়েনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। উঠছে গাফিলতির অভিযোগ। এ বিষয়ে বারুইপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।