মৃত মৎস্যজীবী বুদ্ধদেব মাইতির স্ত্রী নিজস্ব চিত্র।
নামখানায় ট্রলার ডুবিতে মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিল প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মৎস্যজীবীদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দু’লক্ষ টাকার চেক এবং ত্রাণ সামগ্রী। পাশাপাশি মৃত মৎস্যজীবীদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার সব খরচ বহন করারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে৷
বুধবার বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবিতে ন’জন মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়। এক জন এখনও নিখোঁজ। এই ঘটনার পরই জরুরি বৈঠক করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নামখানার ব্লক প্রশাসনের দফতরে হওয়া বৈঠকে ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলাশাসক পি উলগানাথন, সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনের আধিকারিক এবং মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বৈঠকে ট্রলার ডুবি রোধে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বহুদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ায় অনেক ট্রলার বিকল হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাই এ বার থেকে ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যেতে গেলে মৎস্য দফতরের কাছ থেকে ট্রলারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুমতি মিললে তবেই সমুদ্রে যেতে পারবে ট্রলার। পাশাপাশি সমুদ্রের ঢেউ সহ্য করে এগিয়ে যেতে পারে এমন বিশেষ আকৃতির ট্রলার আনার ভাবনা চিন্তা করছে প্রশাসন ও মৎস্য দফতর। ট্রলারে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা না থাকলে কোনও ভাবেই তা সমুদ্রে নামতে দেওয়া যাবে না। লাগাতার কড়া নজরদারি চালানো হবে বন্দর এলাকায়৷
এই প্রসঙ্গে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘‘মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলাম। কী ভাবে ট্রলার ডুবি আটকানো যায় তা নিয়ে বিস্তারিত বৈঠক হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো কাজ এগোবে।’’