বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ফাইল চিত্র।
জুলাই মাসের ১৫ দিন পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কর্মীরা জুন মাসের বেতন পাননি বলে অভিযোগ। সেই তালিকায় রয়েছেন পেনশনভোগীরাও। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্যও।
বিশ্বভারতীতে অধ্যাপক, আধিকারিক, স্থায়ী শিক্ষক ও অশিক্ষিক কর্মী মিলিয়ে ৩ হাজার ৩০০ জন রয়েছেন। জুন মাসের বেতন এখনও পাননি তাঁরা। এর জন্য উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘‘আমি নিজে একজন পেনশনভোগী। তবে আমার ততটা অসুবিধা হচ্ছে না। আমার কিছু পরিচিত প্রাক্তন আশ্রমিক সহকর্মী আছেন যাঁদের এই পেনশনের উপরেই জীবন নির্ভরশীল। তাঁদের খুব সমস্যা হচ্ছে। এর জন্য দায়ী বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ। বেতন চলে এসেছে। তা হলে তা দেওয়ার পরিকল্পনা নেই কেন? জীবনে কখনও এইরকম ঘটনা দেখিনি। তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।’’
বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, সামগ্রিক পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর অবস্থায় রয়েছে। উপাচার্য স্বৈরাচার চালাচ্ছেন। কখনও ছাত্র-ছাত্রীদের সাসপেণ্ড করা হচ্ছে, কখনও আধ্যপকদেরও সাসপেণ্ড করা হচ্ছে। বাদ পড়ছেন না প্রাক্তন আশ্রমিকরাও। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন আশ্রমিক সুবোধ মিত্র জানান, ৭০ বছরে কোনও দিন বেতন বন্ধ রাখা হয়নি। এই প্রথম বিশ্বভারতীতে এই ঘটনা ঘটছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ধিক্কার জানাই। এই প্রসঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তরফে অবশ্য কোনও মন্তব্য করা হয়নি।