তখনও নদীতে চলছে তল্লাশি। —নিজস্ব চিত্র।
বন্ধুবান্ধবীদের নিয়ে রেল সেতুতে উঠে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন। আচমকা ট্রেনের শব্দ পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে সেতু থেকে নীচে নদীতে লাফ দেন তিনি। পর দিন সকালে নদী থেকে উদ্ধার হল কিশোরের দেহ। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় গোবরডাঙা পুরসভার অচিন্ত্যপল্লির বাসিন্দা প্রদীপ সরকারের ছেলে বিশ্বজিৎ তাঁর কয়েক জন বন্ধুবান্ধবীকে নিয়ে গিয়েছি্লেন গোবরডাঙা রেলসেতুতে। বিশ্বজিৎ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুবান্ধবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেলফি তোলার সময় আচমকা ট্রেন আসার আওয়াজ পেয়ে তিনি নীচে যমুনা নদীতে ঝাঁপ দেন। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘ওই ছেলেটি কিছু দিন ধরে যাতায়াত করছিল এখানে। গত কাল সন্ধ্যায় ওরা আসে। আমার কাছ থেকে সিগারেট কিনে নিয়ে ও সেতুতে গেল। সন্ধ্যা হয়ে আসায় আমি সেতুতে উঠতে বারণ করেছিলাম। কিন্তু ও বলল, ‘যাব আর আসব।’ ওদের সঙ্গে একটি মেয়ে ছিল। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই মেয়েটি নেমে এসে আমাকে বলে, ‘দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। ওই ছেলেটা সেতু থেকে পড়ে গিয়েছে।’ এর পর ছেলেটির খোঁজ শুরু হয়।’’
রাতেই বিশ্বজিতের খোঁজ শুরু করে জিআরপি এবং গোবরডাঙা থানার পুলিশ। রাতেই ডুবরি নামানো হয় যমুনায়। তখন বিশ্বজিৎকে উদ্ধারের অনেক চেষ্টা চালানো হলেও ব্যর্থ হন সকলে। অন্ধকার থাকায় খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। সোমবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় তল্লাশি। প্রায় ১৮ ঘন্টা পর দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয়দের বক্তব্য, গোবরডাঙা রেল সেতুতে অনেকেই ছবি তুলতে যান। তার জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয় বলে তাঁদের মত। ঠিক যেমন রবিবার সন্ধ্যায় ঘটেছে। রেলপুলিশের আধিকারিকরা এ নিয়ে একাধিক বার বোঝালেও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।