দুর্ঘটনা: এই ছাদেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিন জন। নিজস্ব চিত্র
বাড়ির ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ছাত্র ও তার পড়শি কাকার মৃত্যু হল। জখম হয়েছেন ছেলেটির বাবাও। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উস্তির বাণেশ্বরপুর মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রেজাউল মোল্লা (৬) ও গফ্ফর লস্কর (৩৬)। বাড়ি মগরাহাটের মামুদপুর গ্রামে। জখম মফিজুল মোল্লাকে কলকাতাযর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি একটি সংশ্তার কর্মীরা পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন। এ দিন সকালে একটি বেসরকারি স্কুলের ঘরে পিকনিকের আয়োজন হয়। সেখানে এসেছিলেন মগরাহাটের মামুদপুরের বাসিন্দা মফিজুল মোল্লা, ছেলে রেজাউল মোল্লা ও প্রতিবেশী ভাই গফ্ফর। পনেরো-কুড়ি জন ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রাতরাশ চলছিল। স্কুলের মেঝেয় পলিথিন পেতে গোল হয়ে বসে লুচি-আলুর দম খাচ্ছিলেন সকলে। পাশেই বাজছিল বক্সে গান বাজছিল।
সে সময়ে মফিজুলের মোবাইলে ফোন আসে। ফোন নিয়ে স্কুল ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের একটি দোকানের একতলা ছাদে ওঠেন তিনি। রেজাউলও লুচির প্লেট নিয়ে বাবার সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে। সে-ও ওঠে ছাদে।
ছাদের উপরে একটি তার কাটা অবস্থায় পড়েছিল। মফিজুলের কোমরে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। ছেলে বাবাকে ধরেছিল। ছিটকে পড়ে সে-ও। শব্দ শুনে গফ্ফর ছুটে আসেন। কাকা-ভাইপোকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন ওই স্কুলের সম্পাদক আফতাবউদ্দিন লস্কর। তিনি ছাদের উপরে গিয়ে শুকনো বাঁশ দিয়ে কোনও ভাবে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংবহন বন্ধ করেন। তিন জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বাণেশ্বরপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মফিজুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়।
আফতাবউদ্দিন বলেন, ‘‘বাপ-বেটা দু’জনে লুচি খেতে খেতে ছাদে উঠেছিল। মোবাইলে কথা বলার সময়ে অন্যমনস্ক থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।’’ কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।