মক্কায় ‘ওমরাহ’ করতে গিয়ে বিপাকে রাজ্যের ১৮ জন বাসিন্দা। শনিবার রাত ১২টায় সৌদি আরবের সব বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার কথা। তার আগে ভারতের উদ্দেশে শেষ উড়ানে তাঁরা চাপতে পারবেন কি না, তা জানে না ওই দলটি। যদিও ওই নাগরিকদের ফেরানোর ব্যাপারে আশাবাদী রাজ্য হজ কমিটির সদস্য এ কে এম ফারহাদ বলেন, ‘‘রাজ্যে সরকারের তৎপরতায় জেড্ডার ভারতের কনসাল জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৮জনকে কলকাতার ফেরানো হচ্ছে।’’
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, হজের সময় ছাড়া অন্য যে কোনও সময় পবিত্র কাবা শরিফ পরিদর্শন করাকে ওমরাহ বলে। সেই ‘ওমরাহ’ করতেই উত্তর ২৪ পরগনার ছ’জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আট জন এবং কলকাতার চার জন গত ২২ ফেব্রুয়ারি মক্কা-মদিনায় গিয়েছিলেন। ফেরার কথা ছিল ১০ মার্চ। কিন্তু করোনা-আতঙ্কের জেরে উড়ান বাতিল। ওই দলের সদস্য উত্তর চব্বিশ পরগণার দেগঙ্গার বাসিন্দা শাহজাহান আলি এ দিন বিকেলে মদিনা থেকে ফোনে বলেন, ‘‘আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। সব টাকা শেষ। ১০ মার্চ বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর জানানো হয়, করোনাভাইরাসের জন্য সব উড়ান বাতিল করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর মালপত্র নিয়ে ফিরে মদিনায় হোটেলে ফিরে যাই।’’ শাহজাহানের ভাই রাকিব হোসেন বলেন, ‘‘১০ তারিখেই রাজ্য হজ কমিটির সদস্য এ কে এম ফারহাদকে পুরো ঘটনাটি জানাই।’’
শাহজাহানের আক্ষেপ, এই পরিস্থিতিতে সৌদি সরকারের কাছ থেকে তেমন সাহায্য মেলেনি। বরং বহু ক্ষেত্রে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় গাড়িতে আসার সময় একাধিকবার পুলিশ তল্লাশি করছে। শুনেছি, রাত বারোটার পর জেড্ডা বিমাবন্দর থেকে সমস্ত বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার আগে আমাদের বিমান ছাড়ার কথা। আদৌ বিমানে উঠতে পারব কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি।’’