WBCS Officer

মোদী সরকারের অনুমোদন মেলায় ১০ ডব্লিউবিসিএস আধিকারিককে আইএএস পদমর্যাদা দিল নবান্ন

নবান্ন সূত্রের খবর, সাধারণ ভাবে দু’মাসের মধ্যে পদোন্নতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে রাজ্যকে জানিয়ে দেয় কেন্দ্র। অগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিয়োগপত্র পেয়ে যান তালিকাভুক্তেরা।।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১৫
Share:

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরের (ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং বা ডিওপিটি)-এর ছাড়পত্র মেলায় ১০ জন ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) আধিকারিককে আইএএস পদমর্যাদায় উন্নীত করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

আইএএস হিসাবে পদোন্নতি পাওয়া আধিকারিকদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনের বিশেষ সচিব শ্রীকৃষ্ণকান্ত সিংহ, স্বরাষ্ট্র ও পর্বতাঞ্চল বিষয়ক দফতরের তিন বিশেষ সচিব— অমিতাভ সেনগুপ্ত, জিতেন্দ্র রায় ও অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, পশ্চাদ্‌পদ জাতি উন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্যকুমার কর, মঞ্জুষার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিত দত্ত, আবাসন দফতরের বিশেষ সচিব সৌম্যজিৎ দাস, নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের বিশেষ সচিব পর্ণা চন্দ, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের ওএসডি দীপঙ্কর মণ্ডল এবং পুর ও নগরোন্নন দফতরের বিশেষ সচিব মিউটিনি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আধিকারিকেরা।

নবান্ন সূত্রের খবর, সাধারণ ভাবে এক মাসের মধ্যে আধিকারিকদের এমন পদোন্নতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে রাজ্যকে জানিয়ে দেয় কেন্দ্র। অগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ আইএএস হিসাবে নিয়োগপত্র পেয়ে যান তালিকাভুক্ত ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকেরা। কিন্তু গত এক দশকে কয়েক বার এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রের ‘অসন্তোষের’ কারণে ডব্লিউবিসিএস থেকে আইএএস হওয়ার প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের অনেকে। তাঁদের মতে, একটি ব্যাচের পদোন্নতিতে যত বেশি সময় নষ্ট হবে, তত পরের ব্যাচের আধিকারিকেরা পিছিয়ে যাবেন। কিন্তু এ বার সেই আশঙ্কা দূর হয়েছে।

Advertisement

নিয়ম অনুসারে, আট বছর কর্মজীবন হলে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক আইএএস হিসাবে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দু’দশকেরও বেশি সময় ডব্লিউবিসিএস হিসেবে কাজের পরে আইএএস হওয়ার সুযোগ মেলে। একই সঙ্গে, বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্ট (এসিআর) ভাল থাকাও এই পদোন্নতির অন্যতম মাপকাঠি। সঙ্গে, ভিজিল্যান্স চলা বা বিভাগীয় তদন্ত চললে তা পদোন্নতিতে অন্তরায় হয় বলে প্রশাসনের বিভিন্ন অংশের মত। ডব্লিউবিসিএসদের আইএএসে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৫৪ বছর। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৫৬ বছর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement