গটগটিয়ে হেঁটে বাড়ি ঢুকলেন সইফ আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে সইফ আলি খান নাকি সিংহবিক্রমে ঢুকেছিলেন হাসপাতালে। তখন রক্তাক্ত তিনি। পিঠে বিঁধে রয়েছে ছুরির আড়াই ইঞ্চি ফলা। পাঁচ দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সইফ। মঙ্গলবার বিকেলে নিজের বাড়ি ঢুকলেন দ্বিগুণ বিক্রমে। পরনে সাদা শার্ট, জিন্স। বাঁ হাতের কব্জিতে বাধা ব্যান্ডেজ। ছোট করে ছাঁটা চুল, পরিষ্কার কামানো দাড়ি। একেবারে সোজা হেঁটে বাড়িতে ঢুকলেন অভিনেতা। হাসিমুখে হাত নাড়লেন ছবিশিকারিদের উদ্দেশে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টোর পর সইফকে দেখা যায় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের বাইরে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিনেতাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যেরা। গাড়িতে চালকের পাশের আসনে বসেই বেরোন সইফ। অভিনেতাকে ধরতে তাঁর পিছন পিছন দৌড়ন সাংবাদিকেরা। তবে গতি বাড়িয়ে বেরিয়ে যায় তাঁর গাড়ি। হাসপাতাল থেকে সোজা নিজের বাড়িতেই ঢোকেন অভিনেতা। প্রাথমিক ভাবে বলা হয়েছিল সৎগুরু শরণ আবাসনে না গিয়ে সইফ যাবেন পাশের একটি আবাসনে, যেখানে ২০২১ সালের আগে থাকতেন তিনি। কিন্তু এ দিন তাঁর গাড়ি গিয়ে ঢোকে সৎগুরু শরণেই।
তত ক্ষণে সে বাড়ির সামনে থিক থিক করছে পুলিশ। একেবারে সোজা হেঁটে বাড়িতে ঢুকলেন অভিনেতা। আবাসনের মূল ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা আলোকচিত্রীদের দিকে হাত নেড়ে নমস্কার জানান। বুড়ো আঙুল তুলে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, তিনি একেবারে সুস্থ। সইফকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে এসেছিলেন স্ত্রী করিনা কপূর ও মা শর্মিলা ঠাকুর।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে করিনা অবশ্য অন্য গাড়িতে বাড়ি ফেরেন। গাড়িতে ভিতর করিনাকে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। সে সময় খুবই বিরক্ত ছিলেন অভিনেত্রী।
এর আগে চিকিৎসকেরা বলেছিলেন আগামী সাত দিন বিশ্রামে থাকতে হবে সইফকে। এমনকি আগামী দু’দিন শুয়ে থাকার পরামর্শই দেওয়া হয়েছিল। বাস্তবে অবশ্য দেখা যায় একেবারে চাঙ্গা অভিনেতা।