ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে টোকাটুকি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। খাতা কেড়ে হলের বাইরে বার করে দেওয়ায় অধ্যাপককে চড় মারলেন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া। মারধর করা হল প্রধান পর্যবেক্ষককেও। অধ্যাপকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জোধপুরে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হইচই পড়েছে। ঘটনার একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৩ জানুয়ারি রাজস্থানের জোধপুরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এমটেকের পরীক্ষা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। মোবাইল ফোন খুলে টোকাটুকি করতে গিয়ে ধরা পড়েন মহেন্দ্র চৌধরি নামে প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর খাতা কেড়ে নিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক অমিত মীনা। পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে নিজের মোবাইল লুকিয়ে ফেলেন মহেন্দ্র। এর কিছু ক্ষণ পর প্রধান পর্যবেক্ষক শ্রবণরাম এসে মহেন্দ্রকে ফোন নিয়ে পরীক্ষা হলে ঢোকার জন্য বকাবকি করেন। তখনই নাকি মেজাজ হারান মহেন্দ্র।
অভিযোগ, তর্ক করতে করতে তিনি ঘুষি মারেন শ্রবণরামকে। অমিত লড়াই থামাতে এগিয়ে গেলে মহেন্দ্র তাঁকেও চড় মারেন। ছাত্রের হাতে থাপ্পড় খেয়ে অমিতের চশমা ভেঙে যায়। তবে এর পরেও থামেননি মহেন্দ্র। দুই অধ্যাপককে ক্রমাগত ধাক্কা মারতে থাকেন। গালিগালাজ করেন। মহেন্দ্রকে বাইরে বার করে দেওয়া হলে বেশ কয়েক জন অধ্যাপককে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি দেন তিনি। এক জনকে লাথি মারার চেষ্টাও করেন। এক অধ্যাপক পুরো ঘটনাটি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে রাখেন। এর পরেই মহেন্দ্রকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রতনদা থানায় মহেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কলেজের শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হলেও বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর। অন্য দিকে, ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপাচার্য মহেন্দ্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে ইতিমধ্যেই জরুরি বৈঠক সেরেছেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবেও বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বহু বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। অভিযুক্ত কলেজপড়ুয়ার শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।