ছবি: প্রতীকী।
কারোর পরিচয় দিতে গেলে নামের পাশে আমরা পদবি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু ভারতের এই গ্রামে পদবি হিসাবে ব্যবহার করা হয় পশু পাখির নাম। উত্তরপ্রদেশের বাগপত, বামনৌলি গ্রামের লোকদের প্রত্যেকের একটি করে অনন্য নাম এবং উপাধি রয়েছে। বহু বছর ধরে স্থানীয় অধিবাসীরা তাঁদের উপাধি হিসেবে পশু-পাখির নাম ব্যবহার করে আসছে। ধরা যাক কারোর নাম বীরেশ, তাঁকে সেখানকার লোক জন বীরেশ ভেড়িয়া বলে সম্বোধন করলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। হিন্দি ভাষায় ভেড়িয়া শব্দের অর্থ নেকড়ে। এইভাবেই কারও নামের পিছনে জুড়ে গিয়েছে শেয়াল, তোতা, কাঠবেড়ালি, ছাগল, বানরের মতো পশুপাখির নাম।
এতে কোনও আপত্তি তোলেন না গ্রামবাসীরা। কারণ তাঁরা জানেন এই প্রথা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে। এমনকি এই গ্রামের কারোর নামে চিঠি এলেও তাতে এই পদবিগুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডাকঘরের কর্মী বিজেন্দ্র সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের এই নামগুলি সকলের কাছে স্বীকৃত, যা চিঠিতে তাঁদের নামের পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়ে থাকে। জেলা সদর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বামনৌলি গ্রামে প্রায় ১৪ হাজার জনসংখ্যা এবং গ্রামে ৫০ টিরও বেশি প্রাসাদ তৈরি করা হয়েছিল। তাই এই গ্রামকে ‘প্রাসাদের গ্রাম’ও বলা হয়। প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো ইতিহাস বহন করে চলেছে প্রাসাদগুলি। তবে বর্তমানে অর্ধেকের বেশি প্রাসাদের অস্তিত্ব মুছে গিয়েছে। এখনও প্রায় ৩০টি পরিবার তাঁদের পূর্বপুরুষদের তৈরি করা প্রাসাদে বসবাস করে গ্রামের ইতিহাস সংরক্ষণ করছেন। এই গ্রামে রয়েছে ১১ টির বেশি মন্দির।