ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
বাইক চুরি গিয়েছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। তার পর স্থানীয় থানায় গিয়ে চুরির অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তরুণ। বছর ঘুরতে চলল। তবুও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। বাইকের খোঁজও পাওয়া যায়নি। চুরির অভিযোগে কাউকে গ্রেফতারও করেনি পুলিশ। সেই খোঁজ নিতেই বার বার থানায় হত্যে দিতেন তরুণ। তা দেখে খেপে যান সেখানকার এক পুলিশকর্মী। তরুণকে দেখে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে শুরু করেন তিনি। চলে মারধরও। এমনই এক ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
বুধবার ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় ঘটেছে। তরুণের নাম প্রিয়াংশু। রেওয়া জেলার বাসিন্দা তিনি। আগের বছর ডিসেম্বর মাসে তাঁর বাইক হারিয়ে যায়। চুরির অভিযোগে স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি তরুণের। খোঁজ নিতে মাঝেমধ্যেই থানায় যেতেন তরুণ। কিন্তু কোনও লাভ হত না। সেই থানার হেমন্ত শুক্ল নামে এক পুলিশকর্মীকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম বার ফোন না ধরলেও দ্বিতীয় বার প্রিয়াংশুর ফোন ধরেন হেমন্ত। অভিযোগ, গালিগালাজ করে প্রিয়াংশুর ফোন রেখে দেন তিনি।
বাইকের খোঁজ নিতে বুধবার থানায় যান প্রিয়াংশু। প্রিয়াংশুকে দেখে রেগে যান হেমন্ত। দৌড়ে এসে প্রিয়াংশুকে মারধর করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। ‘এখানেই পুঁতে রেখে দেব’ বলে বার বার হুমকিও দিতে থাকেন প্রিয়াংশুকে। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করেন প্রিয়াংশু। থানার উচ্চপদস্থ পুলিশকর্মীকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানালে প্রিয়াংশুর অভিযোগের ভিত্তিতে হেমন্তকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়।