সাক্ষী রইল সমুদ্র। অতিথি হিসাবে হাজির ছিল সামুদ্রিক প্রাণীরাও। লোহিত সাগরের নীল জলের নীচে চার হাত এক হল পাত্র-পাত্রীর। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সমুদ্রের গভীরে নেমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন হাসান আবু আল-ওলা এবং ইয়াসমিন দফতরদার। হাসানের পরনে ছিল কালো রঙের সুট। নববধূর পরনে ছিল সাদা রঙের গাউন। তবে এর সঙ্গে আনুষাঙ্গিক সাজসজ্জা হিসাবে ছিল ডাইভিংয়ের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বিবাহের এই বিশেষ আয়োজন।
লোহিত সাগরের নীচে চোখ ধাঁধানো প্রবাল প্রাচীরের মাঝে দাঁড়িয়ে অপরের সঙ্গে সারা জীবন পথচলার অঙ্গীকার করলেন এই যুগল। তবে এই ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না খোদ পাত্র-পাত্রীও। গোটা বিষয়টির আয়োজক ছিল ‘সৌদি ডাইভারস’ নামক একটি স্থানীয় ডাইভিং গ্রুপ এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন কয়েক জন ডাইভার। ক্যাপ্টেন ফয়জ়ল ফ্লেমবানের নেতৃত্বে স্থানীয় ডাইভিং গ্রুপটি এই বিশেষ বিয়ের তত্ত্বাবধান করে বলে জানা গিয়েছে। সদ্য বিবাহিত এই দম্পতি নিজেরাও ডাইভিংয়ে উৎসাহী। সেই কারণেই এই অভিনব পদ্ধতিতে নিজেদের বিয়ে সারার সিদ্ধান্ত নেন যুগল।
নিজের জীবনের সুন্দর এবং অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে হাসান জানান, ‘‘বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পরে, ক্যাপ্টেন ফয়জ়ল এবং তাঁর দল জানায় যে তাঁরা সমুদ্রের নীচে আমাদের বিবাহ উদ্যাপনের পরিকল্পনা করেছেন।’’ প্রতিটি মুহূর্ত তাঁরা সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন বলে জানান তিনি।