bizarre

পরিবারেই লুকিয়ে ছিল কঠিন সত্য, একটি ছবির সূত্রে তরুণী জানতে পারলেন দিদিই তাঁর আসল মা!

সমাজমাধ্যমে এসে ব্রিটেনের বাসিন্দা মেগান ভাগ করে নিয়েছেন সদ্য প্রকাশিত হওয়া তাঁর জীবনের গোপন সত্য।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সন্তানের ভালর জন্য অনেক সময় বাবা-মা অতীতের অনেক কথাই গোপন করে রাখেন। আবার সেই গোপন বিষয় অনেক সময় অপ্রত্যাশিত ভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। তখন সেই সত্যের মুখোমুখি হতে বেশ সমস্যা তৈরি হয়। ঠিক যেমনটি হয়েছে মেগান ফিলিপ নামের এক তরুণীর সঙ্গে। বছরের পর বছর ধরে তাঁর কাছ থেকে লুকিয়ে থাকা একটি পারিবারিক গোপন কথা অপ্রত্যাশিত ভাবে এক জন অপরিচিত ব্যক্তি প্রকাশ করে দেন তাঁর কাছে। সমাজমাধ্যমে এসে ব্রিটেনের বাসিন্দা মেগান ভাগ করে নিয়েছেন সদ্য প্রকাশিত হওয়া তাঁর জীবনের গোপন সত্য। তিনি সমাজমাধ্যমে জানান, এত দিন তিনি যাঁদের তাঁর মা-বাবা বলে জানতেন তাঁরা মেগানের আসল বাবা-মা নন।

Advertisement

মেগানের পরিবার কখনও এই বিষয়টি প্রকাশ করেননি এবং তাঁর শৈশবও স্বাভাবিক ছিল। এক দিন স্কুলে এক জন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে জানান, মেগানের দিদিই তাঁর আসল মা। মেগান যাঁদের বাবা-মা বলে এত দিন জেনে এসেছেন তাঁরা আসলে সম্পর্কে তাঁর দাদু-দিদা। এই কথা তাঁকে হতবাক করে দিলেও বয়স কম হওয়ায় বিষয়টিকে তিনি ততটা গুরুত্ব দেননি। এর পর কেটে যায় বেশ কয়েক বছর। বড় হওয়ার পর বাড়ির আলমারিতে একটি ছবি খুঁজে পান মেগান। সেখানে তাঁর দিদিকে একটি শিশুকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। এই ছবি খুঁজে পাওয়ার পর তিনি পরিবারের কাছে সত্যিটা জানতে চান। তখনই সমস্ত রহস্যের যবনিকাপাত হয়। মেগানের মা ১৪ বছর বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ১৫ বছর বয়সে তিনি সন্তানেন জন্ম দেন। সেই সময় মেগানের দাদু ও দিদা সিদ্ধান্ত নেন যে তাঁরাই এই সন্তানকে লালন-পালন করবেন। মেগান তাঁর মাকে নিজের দিদি বলে বিশ্বাস করে বড় হতে থাকেন।

পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা সত্ত্বেও মেগান জানিয়েছেন যে তাঁর শৈশব সুখেরই ছিল। তিনি এখনও তাঁর দাদু ও দিদাকেই নিজের বাবা-মা বলে মনে করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement