Drunk and Drive

‘হোলি তো, চার-পাঁচটা বিয়ার খেতেই পারি!’ পুলিশকে মত্ত বাইক চালকের সাফাই নদিয়ায়

ত্ত বাইক আরোহীদের জরিমানার আগে নিয়মমাফিক ভিডিয়োগ্রাফির সময় যুবকের দেওয়া উত্তরে রীতিমতো হতবাক পুলিশ! পুলিশের কাছে গর্বিত স্বরে সাফাই গাইলেন ধৃত যুবক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ২২:৫৬
Share:

পুলিশের কাছে গর্বিত স্বরে সাফাই গাইলেন ধৃত যুবক। —ফাইল চিত্র।

বয়স বড় জোর ২৫, মত্ত অবস্থায় সাইলেন্সার-বিহীন বাইক ছুটিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দুই যুবক। রাস্তা থেকেই সৌরভ বিশ্বাস নামে ওই বাইকচালক ও তাঁর সঙ্গীকে আটক করে শান্তিপুর ট্রাফিক গার্ড। নিয়ে আসা হয় ট্রাফিক গার্ডের অফিসে। কিন্তু মত্ত বাইক আরোহীদের জরিমানার আগে নিয়মমাফিক ভিডিয়োগ্রাফির সময় যুবকের দেওয়া উত্তরে রীতিমতো হতবাক পুলিশ! পুলিশের কাছে গর্বিত স্বরে সাফাই গাইলেন ধৃত যুবক। সঙ্গে শোনালেন ট্রাফিক আইন ভাঙার পিছনে একের পর এক যুক্তিও!

Advertisement

শান্তিপুর ট্রাফিক গার্ড মারফত সেই ভিডিয়ো এখন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। সেখানে যুবককে বলতে শোনা যাচ্ছে, “ওঁরা বলছেন, আমরা নাকি কাউকে ফেলে দিয়েছি। কিন্তু আমরা কাউকে ফেলিনি।’’ এর পর অপর প্রান্ত থেকে প্রশ্ন ভেসে আসছে, ‘‘পুলিশ বলছে আপনারা নাকি মদ খেয়েছেন?’’ তার উত্তরেই গর্বিত স্বরে ঠোঁট উল্টে যুবকের জবাব, ‘‘হালকা মদ অবশ্যই খেয়েছি। আজ তো হোলি, চার-পাঁচটা বিয়ার তো খেতেই পারি!’’ সাইলেন্সার-বিহীন বাইক চালাচ্ছিলেন কেন? উত্তরে যুবকের সাফ জবাব, “বাইক সারাতে দিয়েছিলাম। ওরা সাইলেন্সারের পাইপ খুলে রেখেছে। আজকে বাইক দিতেও চাইছিলেন না। কিন্তু কী করব, পায়ে হেঁটে তো যাব না। ২৩ কিলোমিটার হাঁটা সম্ভব নয়।” কিন্তু সাইলেন্সারের আওয়াজে তো শব্দ দূষণ হচ্ছে, এই মন্তব্য শুনেই সৌরভের পাশে থাকা আর এক যুবক বলছেন, “শব্দদূষণ হচ্ছে না, নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই শব্দ হচ্ছে। হবিবপুরের পুলিশ আগে থেকে সাইলেন্সারের পাইপ খুলে দিয়েছে। আমরা কী করতে পারি? আপনাদেরই কিছু করতে হবে তা হলে।’’ এর পরেই যুবকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আপনারা কী চাইছেন? ২৩ কিলোমিটার কি পায়ে হাঁটা সম্ভব? আমাদের ওখানে মদের দোকান নেই, আবার এখানেও আসতে পারব না! তাহলে কী করব?’’

পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, হোলির দিন মদ্যপানের পক্ষে এ ধরনের সাফাই এবং রসাত্মক যুক্তি শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান থানায় উপস্থিত সাধারণ মানুষ। পুলিশ মারফত কিছু ক্ষণের মধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োটি পাঠানোর আবদার করে একের পর এক ফোনও আসতে শুরু করে শান্তিপুর ট্রাফিক গার্ডের অফিসে! তবে এত যুক্তি দিয়েও জরিমানা থেকে ছাড় পাননি যুবক! বিষয়টিকে এখনও তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement