ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ ফেব্রুয়ারি খাস উত্তর প্রদেশের আগরা শহরে। প্রতীকী ছবি।
এক অদ্ভুত বিয়ের সাক্ষী হল প্রেমের শহর আগরা। বিয়ের মঞ্চ সাজানো হয়েছিল। ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে হাজির হয়েছিলেন বর। কিন্তু তাঁকে দেখার পর কনে যা করলেন, আর তার পর কনের সঙ্গে যা হল, তা যেকোনও গল্প-উপন্যাস-সিনেমাকেও টেক্কা দেবে। তবে বাস্তব তো বরাবরই কল্পনাকে মাত দিয়েছে। এ ক্ষেত্রেও হল তা-ই।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ ফেব্রুয়ারি খাস উত্তর প্রদেশের আগরা শহরেই। বিয়ের মণ্ডপে বরের গলায় মালা পরানোর ঠিক আগের মুহূর্তেই কনে হঠাৎ ঘোষণা করেন তিনি বিয়ে করবেন না। কারণ হবু স্বামীকে একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর।
আচমকা এমন ঘটনায় কনের বাড়ির লোকজন কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। মেয়েকে বোঝানোর বহু চেষ্টাও করেন তাঁরা। শেষে মেয়ে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাঁর পরিবার মেয়ের পুরনো প্রেমিককে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয়।
৭ দিন আগেও অবশ্য এই প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আগ্রার ওই কন্যার। বিয়ের সমস্ত প্রস্তুতি শেষও হয়ে গিয়েছিল। শেষ লগ্নে, বিয়ের ঠিক সাত দিন আগে হঠাৎ কনের পরিবার বেঁকে বসে। বিয়ে ভেঙে যায়। মেয়েটিও পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানে। কিন্তু যে হেতু বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, তাই মেয়ের জন্য ৭ দিনের মধ্যেই ঠিক হয় নতুন পাত্র। ঠিক হয় একই দিনে বিয়ে হবে মেয়ের। শুধু বদলে যাবে পাত্র। কিন্তু গণ্ডগোল বাধে বিয়ের মণ্ডপে।
পাত্রকে ঘোড়ার পিঠ থেকে নামতে দেখার পরই আচমকা মত বদলান কনে। জানিয়ে দেন, এই পাত্রকে বিয়ে করবেন না তিনি। কেন আপত্তি, তা জানতে চাওয়া হলে কনে স্পষ্ট বলে দেন, পাত্রের চোখ দু’টি অত্যন্ত ছোট। তাঁকে দেখতে ভাল লাগছে না তাঁর। আর এমন পাত্রের সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর কথা ভাবতেই পারছেন না তিনি।
মেয়ের কথা শুনে এর পর বাধ্য হয়েই বিয়ে বাতিল করে পরিবার। ডেকে পাঠানো হয় পুরনো প্রেমিকের পরিবারকে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে মেয়ের প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে দেয় পরিবার। অন্য দিকে, কনের বাতিল করা পাত্রের পরিবারকে সামাজিক সম্মান নষ্টের ‘ক্ষতিপূরণ’ দিয়ে তার পরেই ছাড় পায় কনেপক্ষ।