স্কুলছাত্র রাজা দে। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুলছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানা এলাকায়। মৃতের নাম রাজা দে। পরিবারের অভিযোগ, গৃহশিক্ষকের কাছে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৃহশিক্ষক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহশিক্ষক এবং সহপাঠীদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন ওই পড়ুয়া। সিনেমা দেখে বেরিয়ে সবাই ছবি তুলেছিলেন। রাজা নাকি গৃহশিক্ষকের সঙ্গে সেলফি তুলতে চাননি। তাতে রেগে যান ওই গৃহশিক্ষক। বকুনি দেন ছাত্রকে। সহপাঠীরা অপমান করেন রাজাকে। সেই অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছেন রাজা। মৃতের মা লতা দে বলেন, ‘‘জগদ্দলের আতপুরের একটি সিনেমাহলে ‘খাদান’ ছবি দেখতে গিয়েছিল রাজারা। সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার সময় স্যরের সঙ্গে সেলফি না-তোলায় বকুনি খায় ও। ওর বন্ধুরাও ওকে খারাপ বলে। আমার ছেলে ওই অপমান সহ্য করতে পারেনি। মঙ্গলবার বাড়ি ফাঁকা দেখে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে ও। আমি স্যরের শাস্তি চাই।’’
মৃত ছাত্রের মা আরও জানান, তিনি বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। ফোনে তাঁর সঙ্গে এক বার ছেলের কথা হয়েছিল। তাঁর স্বামী শঙ্কর দে পেশায় রাজমিস্ত্রি। কাজের সূত্রে তিনিও বাইরে ছিলেন। ছেলেকে ১৪-১৫ বার ফোন করেও পাননি লতা। তাই স্বামীকে বাড়ি যেতে বলেন। শঙ্কর বাড়ির মূল দরজা খুলে ঘরে ঢুকে ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
পুলিশ পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই গৃহশিক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছাত্রের সঙ্গে তাঁর কেমন সম্পর্ক ছিল, ঠিক কী ঘটেছিল সে দিন, জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।