প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা: সুব্রত
৩ মে-র হিংসায় পুড়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি, দোকান। অনেকেই শুধু প্রাণটুকু নিয়ে পালাতে পেরেছিলেন। সারা রাত কেটেছে বাড়ির পিছনে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে। পরে সেনাবাহিনীই ঘরছাড়াদের উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে নিয়ে এসেছে। ইম্ফলের আইডিয়াল গার্লস কলেজের ‘রিলিফ ক্যাম্প’-এ ঘুরলে এ রকম অজস্র অভিজ্ঞতার গল্প শোনা যায়। সরকার পরিচালিত এই ত্রাণশিবিরে মাসের পর মাস দিন কাটছে নানান বয়সের মেইতেই নারী-পুরুষের। ক্যাম্পে প্রসবের ঘটনাও ঘটেছে। বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা হয়েছে স্থানীয় স্কুলে। কিন্তু এটা যে কোনও সমাধান নয়, সেটা খুব ভাল করেই জানেন ক্যাম্পের ৯০০-র কাছাকাছি বাসিন্দা। দাবি করছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে নিজেদের এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সরকারকে সুনশ্চিত করতে হবে। কিন্তু বাড়িঘর যে সব পুড়ে গিয়েছে জাতিহিংসার আগুনে! ফিরে গেলেও থাকবেন কোথায়? যে প্রতিবেশী বাড়িছাড়া করেছিলেন, তাঁদের বিশ্বাস করে আবার থাকতে পারবেন পাশাপশি? জোর গলায় উত্তর পাওয়া গেল না। মেইতেই অধ্যুষিত ইম্ফলের ত্রাণশিবিরের থেকে খুব একটা আলাদা নয় কুকি এলাকার ত্রাণশিবিরগুলির ছবি। সব হারানোর বেদনা সেখানকার বাতাসেও পাক খেয়ে বেড়ায়। মণিপুর জুড়ে প্রায় সাড়ে তিনশোর মতো ত্রাণশিবির। এই ত্রাণশিবিরই কি এই মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ? আদৌ তাঁদের আর কোনও দিন বাড়ি ফেরা হবে?