iPhone battery tips

দিনের শেষেও তরতাজা থাকবে ‘বন্ধু’, মনও থাকবে ফুরফুরে! ১০ উপায়ে ভাল রাখুন আইফোনের ব্যাটারি

সারা দিন আইফোন চালু রাখতে গিয়ে ব্যাটারি শেষ? ব্যাটারির আয়ু বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন, সে আপনার কাছে আইফোনের যে মডেলই থাকুক না কেন। আইফোনের ব্যাটারি-জীবন উন্নত করতে মেনে চলুন দশটি উপায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৪৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আইফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়? সারা দিন আইফোন চালু রাখতে গিয়ে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাচ্ছে? নেপথ্যে চলা একাধিক অ্যাপ্লিকেশন, ক্রমাগত নোটিফিকেশন, একই ফোনে ‘সিরি’ আর শ্রীমতীর ভারসাম্য রাখতে গিয়ে জেরবার অবস্থা? আইফোনের ব্যাটারির আয়ু বৃদ্ধির জন্য তাই ‘পুষ্টির’ খোঁজ করি আমরা। প্রয়োজনীয় কাজ না বন্ধ করেও বেশ কয়েকটি সেটিংস পরিবর্তন করে আইফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো সম্ভব। আইফোনের ব্যাটারি-জীবন উন্নত করতে দশটি উপায় মেনে চলতে পারেন।

Advertisement

১. লো পাওয়ার মোড

এটা ব্যাটারি বাঁচানোর সব সেটিংসের শর্টকাট বলা যেতে পারে। লো পাওয়ার মোড অন করলে একসঙ্গে ফোনের বহু ‘ব্যাটারিখেকো’ ফিচার বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি ফোনের প্রসেসরও অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত শক্তি খরচ করবে না। ফলস্বরূপ ব্যাটারির ‘মুখের হাসি’ দীর্ঘস্থায়ী হবে।

Advertisement

কী ভাবে করতে হবে: সেটিংস>ব্যাটারি>লো পাওয়ার মোড অন করতে হবে

২. টাইপ করার হেপটিক ফিডব্যাক বন্ধ করুন

টাইপ করার সময় হেপটিক ফিডব্যাক ডিসেবল করুন। হেপটিক ফিডব্যাকের ভাইব্রেটর প্রতি বার টাইপ করার সময় অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচ করে।

কী ভাবে করতে হবে: সেটিংস> সাউন্ড এবং হ্যাপটিক্স> কিবোর্ড ফিডব্যাকে নেভিগেট করে ‘হ্যাপটিক্স’ বন্ধ করুন।

৩. ‘হে সিরি’ ডিটেকশন বন্ধ করুন

আপনি যদি নিয়মিত সিরি ব্যবহার না করেন, তবে আপনার আইফোনের সর্বদা ‘হে সিরি’ কমান্ড শোনার প্রয়োজন নেই। আপনার হাঁকডাক শোনার কাজ থেকে তাকে সাময়িক ছুটি দিন।

কী ভাবে করতে হবে: সেটিংস> সিরি অ্যান্ড সার্চ> লিসন ফর আ-এ গিয়ে ‘অফ’ সিলেক্ট করুন।

৪. ঘন ঘন নোটিফিকেশন আসা বন্ধ করুন:

নোটিফিকেশনের সংখ্যা কমান। ঘন ঘন নোটিফিকেশন আপনার স্ক্রিন বার বার অন করে। এমনকি বার বার নোটিফিকেশনের আওয়াজ ব্যাটারি ব্যাকআপে প্রভাব ফেলে। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অ্যাপের নোটিফিকেশন অন রাখুন।

কী ভাবে করবেন: সেটিংস> যে অ্যাপের নোটিফিকেশন অফ করতে চান সেটি সিলেক্ট করুন> নোটিফিকেশনে যান> অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন অফ করুন।

৫. কাছাকাছি এয়ারড্রপ শেয়ারিং বন্ধ করুন

এই ফিচারটি ফাইল শেয়ার করার জন্য কাছাকাছি কোনও ডিভাইস আছে কি না সার্চ করতে থাকে। বিশেষ করে জনাকীর্ণ এলাকায় দ্রুত ব্যাটারি খরচ হয় এই ফিচারের জন্য।

কী ভাবে বন্ধ করবেন: সেটিংস>জেনারেল> এয়ারড্রপে গিয়ে ‘ব্রিংগিং ডিভাইসেস টুগেদার’ বন্ধ করুন।

৬. ‘লাইভ অ্যাক্টিভিটিস’-এর ব্যবহার এড়িয়ে চলুন

লাইভ অ্যাক্টিভিটিস অ্যাপের থেকে রিয়েল টাইম আপডেট দেখাতে থাকে যা ব্যাটারিতে প্রভাব ফেলে। তাই ব্যাটারি বাঁচাতে এটি বন্ধ করুন।

কী ভাবে বন্ধ করবেন: সেটিংস> যে অ্যাপগুলো লাইভ অ্যাক্টিভিটি ব্যবহার করে তাদের খুঁজুন> প্রতিটি অ্যাপের জন্য লাইভ অ্যাক্টিভিটি বন্ধ করুন।

অথবা: সেটিংস> ফেস আইডি এবং পাসকোড> লক স্ক্রিনে লাইভ অ্যাক্টিভিটি বন্ধ করুন।

৭. লক স্ক্রিন উইজ়েটগুলি সরান

লক স্ক্রিন উইজ়েটগুলি ক্রমাগত তাদের তথ্য আপডেট করে ব্যাটারি শেষ করতে পারে। যে কোনও অপ্রয়োজনীয় উইজ়েট সরিয়ে দিন।

কী ভাবে বন্ধ করবেন: আইফোনের ডিসপ্লে অন রাখুন এবং লক স্ক্রিন হোল্ড করে রাখুন> ‘কাস্টমাইজ়’ সিলেক্ট করুন> ঘন ঘন আপডেট হওয়া উইজ়েটগুলি সরিয়ে ফেলুন।

৮. রিফ্রেশ রেট কমান

নতুন আইফোন প্রো মডেলে ১২০ হার্ৎজ় রিফ্রেশ রেট আছে। সেটাও কিন্তু দ্রুত ব্যাটারি শেষ করতে পারে। এটিকে ৬০ হার্ৎজ়ে সেট করলে ব্যাটারির দম বেড়ে যাবে।

কী ভাবে করতে হবে: সেটিংস> অ্যাক্সেসিবিলিটি> মোশনে ‘সীমাবদ্ধ ফ্রেম রেট’ চালু করুন।

৯. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ বন্ধ করুন

ব্যাকগ্রাউন্ডে নিজেদের রিফ্রেশ করছে যে অ্যাপগুলো সেগুলো ব্যাটারি শেষ করে। ব্যাটারি বাঁচাতে এই ফিচারটা বন্ধ করুন।

কী ভাবে করতে হবে: সেটিংস> জেনারেল> ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশে যান এবং এটি সম্পূর্ণ ভাবে বা নির্দিষ্ট অ্যাপের জন্য বন্ধ করুন।

১০. অপ্টিমাইজ়ড চার্জিং ব্যবহার করুন

অপ্টিমাইজ়ড চার্জিং আপনার রুটিনের উপর ভিত্তি করে চার্জ করার গতি নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাটারির আয়ু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে৷ এই ফিচারটা চালু আছে কি না দেখে নিন।

কী ভাবে করতে হবে: সেটিংস> ব্যাটারি> ব্যাটারি হেল্‌থ এবং চার্জিং> অপ্টিমাইজ়ড চার্জিং বেছে নিন৷ আইফোন ১৫ সিরিজ়ের জন্য, আপনি ৮০ শতাংশ চার্জিং ক্যাপ সেট করতে পারেন।

ব্যাটারির আয়ু বৃদ্ধির জন্য বোনাস টিপস:

উল্লিখিত ১০টি সেটিংসের বাইরে আপনার আইফোনের ব্যাটারির আয়ু আরও বৃদ্ধির জন্য কিছু বাড়তি কাজ করেতে পারেন। যেমন, স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা হ্রাস করা এবং যে অ্যাপগুলির প্রয়োজন নেই তাদের লোকেশান সার্ভিস বন্ধ করা, ‘অলওয়েজ় অন ডিসপ্লে’ বন্ধ করা ইত্যাদি।

জীবনে চাপ কমানোর জন্য অনেক কিছু তো করলেন। এ বার দেখুন আপনার ফোনের ব্যাটারির সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে আপনার মনের ফুরফুরে ভাব কেমন সমানুপাতে বাড়ে। হাজার হোক এই মুহূর্তে আক্ষরিক অর্থে আমাদের ফোনই তো সবচেয়ে কাছের, সর্ব ক্ষণের সঙ্গী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement