মা সুস্থ হলেও চহালের বাবা এখনও ভাইরাসে আক্রান্ত। ফাইল চিত্র
বাবা ও মা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওঁর মা ইতিমধ্যে সেরে উঠেছেন। তবে যুজবেন্দ্র চহালের বাবার শরীর থেকে এখনও মারণ ভাইরাস বিদায় নেয়নি। স্বভাবতই তিনি চিন্তিত। আইপিএল চলার সময় খারাপ খবরটা স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তাই ক্রোড়পতি লিগ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের এই লেগ স্পিনার।
চহাল বলেন, “খারাপ খবর শোনার পরেই আইপিএল থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। বাবা-মা দুজনেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ি গিয়ে ওঁদের পাশে না থেকে খেলা খুবই কঠিন ছিল। খেলার দিকে একেবারেই মন দিতে পারছিলাম না।”
ভাইরাসের প্রকোপ তাঁর পরিবারকে এখনও ছাড়েনি। তাই সেই সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাবতে বসলে এখনও শিউরে ওঠেন এই ক্রিকেটার। সেই খারাপ সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে চহাল বলেন, “গত ৩ মে ওঁদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছিলাম। এরপর ৪ মে আইপিএল বাতিল করে দেওয়া হয়। আমার বাবার অক্সিজেন সম্পৃক্ততার মাত্রা অনেকটা কমে প্রায় ৮৫-৮৬ হয়ে গিয়েছিল। সেই জন্য বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার বাবা বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু এখনও ওঁর শরীর থেকে ভাইরাস বিদায় নেয়নি। যদিও এখন অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫-৯৬। তাই চিন্তা কিছুটা কমেছে। যদিও বাবার পুরো সুস্থ হতে আরও ৭-১০ দিন লাগবে।”
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিওর আক্রান্ত হওয়ার পর অমিত মিশ্র এবং ঋদ্ধিমান সাহার নাম সামনে আসে। পরপর একাধিক ক্রিকেটার অসুস্থ হওয়ার পর আইপিএল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই। চহালের দাবি আইপিএল যে বন্ধ করে দেওয়া হবে, সেই আঁচ তিনি আগেই পেয়েছিলেন। তিনি যোগ করেন, “একাধিক ক্রিকেটারদের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই বুঝতে পেরেছিলাম প্রতিযোগিতা বাতিল করে দেওয়া হবে। তাই দলকে বাড়ির পরিস্থিতি জানিয়ে ফিরে এসেছিলাম।”
তবে কোভিডের জন্য আইপিএল বাতিল হলেও চহাল মনে করেন আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে দেশের মাটিতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। শেষে তিনি বলেন, “দেশে করোনার দাপট এখন বজায় থাকলেও আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতেই আয়োজিত হবে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হলেও আমাদের দলের সমস্যা হবে না। কারণ আরবে আমরা আগেও খেলেছি। সেই দেশের পিচের অবস্থা ভারতের মতো।”