নোভাক জোকোভিচ টুইটার
রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদালের পাশে জায়গা করে নিলেন নোভাক জোকোভিচ। তিন জনেরই ২০টি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম হল। সংখ্যার বিচারে তিন জন এক আসনে থাকলেও বাকি দু’জনের থেকে বোধ হয় অনেকটাই এগিয়ে গেলেন জোকোভিচ। যে ছন্দে আছেন তিনি তাতে কোথায় গিয়ে থামবেন তা বোধহয় জোকোভিচ নিজেও জানেন না।
ষষ্ঠ উইম্বলডন জিতে টেনিসের দুই মহাতারকাকে ছুঁয়ে সবার আগে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ঝরে পড়ল জোকোভিচের কথায়। বললেন, ‘‘ওদের দেখেই আমি শিখেছি। ওরা টেনিসের কিংবদন্তি। ফেডেরার, নাদালের বিরুদ্ধে প্রথম প্রথম খেলতে গেলেই হারতাম। তবে পুরোটা বদলে গেল ২০১০-১১ সাল নাগাদ। আমি বুঝতে পারি আমায় আরও শক্তিশালী হতে হবে।’’
এই বছর প্রথমে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, তারপর ফরাসী ওপেন আর এ বার উইম্বলডন। এবার লক্ষ্য বছরের শেষ গ্যান্ড স্ল্যাম ইউএস ওপেন। এটা জিতলেই ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা হয়ে যাবে তাঁর। আত্মবিশ্বাস ক্রমশ বাড়তে থাকা জোকোভিচ বললেন, ‘‘আমি দারুণ ছন্দে আছি। ইউএস ওপেনে জেতার চেষ্টা অবশ্যই করব।’’
বিপক্ষে থাকা ইটালির মাত্তেয়া বেরেত্তিনির প্রশংসা করে জোকোভিচ বললেন, ‘‘ও দারুণ খেলেছে। খুব শক্তিশালী টেনিস খেলে। বেরেত্তিনি ভবিষ্যতে বড় তারকা হতে পারে। ওর জন্য আমার কাছে খুব কঠিন ম্যাচ হয়ে গিয়েছিল।’’
একটা করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন, আর নতুন করে দেখতে পান ছোটবেলাটা। ২০তম বারেও তার ব্যতিক্রম হল না। বললেন, ‘‘ছোটবেলায় ভাবতাম, কবে উইম্বলডনে খেলব, আর এই খেতাব জিতব। বাড়িতে যা ছিল, তাকেই উইম্বলডন খেতাবের মত ভাবতাম। আর আজ আমার হাতে ষষ্ঠ উইম্বলডন। ভাবতেই কেমন লাগে।’’
আপাতত অপেক্ষা ইউরোর ফাইনালের। ফুটবল ভক্ত জোকোভিচের সমর্থন কার দিকে থাকবে, তা জানালেন না সার্বিয়ার টেনিস তারকা। শুধু বললেন, ‘‘আমি চাই ভাল ফুটবল খেলা হোক।’’
জয়ের পর উল্লাস জোকোভিচের টুইটার