১৯৯৬ বিশ্বকাপের সেই মুহূর্ত। প্রসাদের বলে আউট হয়ে ফিরছেন আমির সোহেল। —ফাইল চিত্র।
কেটে গিয়েছে দুই যুগ। কিন্তু, ২৪ বছর পরেও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে ভেঙ্কটেশ প্রসাদের বলে আমির সোহেলের আউটের সেই ছবি ভেসে ওঠে। এত বছর পর সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং প্রসাদ।
সেটা ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। জেতার জন্য ২৮৮ রান তাড়া করতে নেমেছে পাকিস্তান। প্রথম উইকেটে উঠে গিয়েছে ৮৪ রান। সইদ আনোয়ার ফেরার পর ইজাজ আহমেদের সঙ্গে খেলছিলেন আমির সোহেল। তখনই ঘটে এই ঘটনা। ১৫তম ওভারে প্রসাদকে কভার বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে আমির সোহেল অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করেন। শব্দ বোঝা না গেলেও বার্তা ছিল পরিষ্কার। সীমানা থেকে বল কুড়িয়ে নিয়ে আসতে বোলারকে বলছেন বাঁ-হাতি ওপেনার। পরের বলেই প্রসাদ বোল্ড করেন সোহেলকে। অফস্টাম্প উড়িয়ে দিয়ে প্রসাদও পাল্টা অঙ্গভঙ্গি করেন। ব্যাটসম্যানকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন। মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত শেষ পর্যন্ত ৩৯ রানে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠে।
আরও পড়ুন: বিদেশে নয়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেশেই আইপিএল করতে মরিয়া বোর্ড
আরও পড়ুন: যেন খেলা নয়, যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি, ফুটবল এখন এই পথেই?
সেই ঘটনা নিয়ে ভেঙ্কটেশ প্রসাদ বলেছেন, “গত ২৪ বছরে প্রত্যেক দিনই আমাকে ওই ঘটনা নিয়ে কেউ না কেউ ঠিক প্রশ্ন করেছে, জানতে চেয়েছে। বাউন্ডারি মেরে সোহেলের উচিত ছিল ক্রিজে ফিরে যাওয়া। কিন্তু তার পর বাক্য বিনিময় চলে। ও এমন একটা ভঙ্গি করে যা মোটেই মেনে নেওয়ার নয়। পুরো দেশ, মাঠে থাকা দর্শকরা এবং অবশ্যই আমি, কেউই তা সহ্য করতে পারিনি। আমার রক্ত তো টগবগ করে ফুটছিল। আর আমাদের তখন উইকেটের দরকারও ছিল।”
সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইউটিউবে ভিউ হয়েছিল ১০ লক্ষেরও বেশি। প্রসাদ অবশ্য আইসিসির শাস্তি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন। তাঁর কথায়, “এই বিশ্বকাপের সময়ই আইসিসির আচরণবিধি চালু হয়েছিল। আমার হয়তো শাস্তিও হত। আম্পায়ার ছিলেন ডেভিড শেপার্ড। আজহার, শ্রীনাথ ও সচিনরা সবাই আমাকে উদ্ধার করেছিল। না হলে হয়ত নির্বাসিতই হতে হত।” সেই ম্যাচে ১০ ওভারে ৪৫ রানে তিন উইকেট নিয়েছিলেন প্রসাদ। আমির সোহেল ছাড়া ইজান আহমেদ ও ইনজামাম উল হককে ফিরিয়েছিলেন তিনি।