সেমিফাইনালে মনপ্রীত, গুরজন্তরা। ছবি রয়টার্স
অলিম্পিক্স হকিতে কি ‘শাপমোচনের’ অপেক্ষা! অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ বাদ দিলে, ভাল ছন্দে থেকেই পদকের দোরগোড়ায় ভারত। রবিবার কোয়ার্টার ফাইনালে গ্রেট ব্রিটেনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মনপ্রীতরা চলে গেলেন সেমিফাইনালে। পরের ম্যাচে জিতলেই পদক। না জিতলে আর একটা সুযোগ থাকবে ব্রোঞ্জের।
অলিম্পিক্স হকিতে ভারত শেষ পদক জেতে ১৯৮০ সালে। অনেক দেশ অংশ না নেওয়া সেই অলিম্পিক্সে সোনা জেতে ভারতীয় হকি দল। ৪১ বছর পর টোকিয়োয় ফের পদকের হাতছানি। কিন্তু সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ। বেলজিয়াম। এই অলিম্পিক্সে তারা ৫ ম্যাচে ২৯ গোল করেছে। তার মধ্যে ২টি ম্যাচে দিয়েছে ৯টি করে গোল। ১টি ম্যাচেও হারেনি। ৪ জয়। ১টি ড্র গ্রেট ব্রিটেনের সঙ্গে, যাদের হারিয়েই সেমিফাইনালে উঠল ভারত।
১৯৮০ সালে অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিল ভারত। কিন্তু সে বার মাত্র ছ’টি দল অংশ নেওয়ায় কোনও সেমিফাইনাল খেলা হয়নি। লিগ পর্যায়ে প্রথম দুইয়ে শেষ করা দল ফাইনালে খেলে। ভারত শেষ বার অলিম্পিক্স হকিতে সেমিফাইনাল খেলেছিল ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিক্সে। সে বার পাকিস্তানের কাছে ০-২ গোলে হেরে যায় তারা।
রবিবার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করে ভারত। তার ফায়দাও তুলে নেয় তারা। ৭ মিনিটের মাথায় অসামান্য দলগত প্রচেষ্টায় গোল করেন দিলপ্রীত সিংহ।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে ফের গোল। এবার গুরজন্ত সিংহ। ব্রিটেনের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে তাঁদের পায়ের তলা দিয়ে গোল করেন গুরজন্ত।
তৃতীয় কোয়ার্টারে খেলায় ক্রমশ জাঁকিয়ে বসতে থাকতে ব্রিটেন। গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা চালাতে থাকে তারা। কোয়ার্টারের শেষ দিকে গোল পেয়েও যায়। ভারতের দুর্বলতার সুযোগে গোল করেন স্যাম ওয়ার্ডেন।
কিন্তু চতুর্থ কোয়ার্টারের শেষের দিকে গোল করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন হার্দিক সিংহ। তবে এই কোয়ার্টারে ব্রিটেন প্রচুর আক্রমণ করেছিল। গোলকিপার পি আর শ্রীজেশের দক্ষতায় বেঁচে যায় ভারত।
সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের মুখোমুখি মনপ্রীত সিংহরা। এই বেলজিয়ামের কাছে হেরেই গত বারের অলিম্পিক্স থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত।
(এই প্রতিবেদন প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল ৪১ বছর পর সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত। কিন্তু আসলে ভারত ৪৯ বছর পর সেমিফাইনালে উঠেছে। ১৯৮০ অলিম্পিক্সে কোনও সেমিফাইনাল খেলা হয়নি। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।)