ফেডেরাদের মুখে হাসি ফোটালেন বেনসিচ।
সুইসদের সবথেকে বেশি আশা ছিল যাঁর কাছে, সেই রজার ফেডেরার অলিম্পিক্সে নামেননি। এরপর টেনিসে পদক পাওয়ার ব্যাপারে যাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল সুইৎজারল্যান্ড, সেই স্ট্যানিসলাস ওয়াওরিঙ্কাও টোকিয়োতে যাননি। কিন্তু সুইসদের মুখে হাসি ফোটালেন বেলিন্দা বেনসিচ।
বিশ্বের ১২ নম্বর বেনসিচ অলিম্পিক্সে মহিলাদের সিঙ্গলসে দেশকে সোনা এনে দিলেন। সুইৎজারল্যান্ড টেনিসে সোনা পেল এই আপাত অখ্যাত খেলোয়াড়ের হাত ধরে। যাঁকে আদর্শ করে বেড়ে উঠেছেন, সেই ‘সুইস মিস’ মার্টিনা হিঙ্গিসকেও অলিম্পিক্সে শুধু ডাবলসে রুপো পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন হয়ে বেনসিচ তাঁর সোনা উৎসর্গ করেছেন ফেডেরার এবং হিঙ্গিসকে। ম্যাচের আগে ফেডেরারের বার্তাই তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিল বলে জানিয়েছেন বেনসিচ। বলেন, ‘‘আমাদের দেশের টেনিসের জন্য ওঁরা যা করেছেন, জানি না তার ধারেকাছে পৌঁছতে পারব কিনা। কিন্তু আমার এই পদক যদি ওঁদের কীর্তিকে আর একটু প্রতিষ্ঠা দেয়। তাই ওঁদের দুজনের জন্য রইল আমার এই সোনা।’’
ফেডেরারের বার্তা পাঠানো নিয়ে বেনসিচ বলেন, ‘‘উনি আমাকে ম্যাসেজ করেছিলেন। বলেছিলেন, স্বপ্ন পূরণের এর থেকে বড় সুযোগ আমার কাছে আর আসবে না। ঠিকই বলেছিলেন। উনি সব সুইস খেলোয়াড়দেরই সাহায্য করেন।’’