Udayan Guha

দফতরের কাজ নিয়ে ‘রিপোর্ট’ উদয়ন গুহের

এ দিন বেলা ১টা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হয়। সেখানে উপস্থিত থাকলেও উদয়ন গুহ অবশ্য তাঁর স্বল্প সময়ের বক্তব্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কথাই তুলে ধরেন।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০২
Share:

উদয়ন গুহ। —ফাইল চিত্র।

পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও শেষ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় ডাক পায়নি কোচবিহার। তবে বুধবার সকাল থেকেই পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন কোচবিহার জেলা প্রশাসনের কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী যখন পাশের জেলায়, তখন কোথাও-কোনও বিষয়ে যাতে খামতি না থাকে সে দিকেও নজর রেখেছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। তবে কোচবিহার ডাক না পেলেও, এ দিন সভায় ছিলেন দিনহাটার বিধায়ক, তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।

Advertisement

এ দিন বেলা ১টা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হয়। সেখানে উপস্থিত থাকলেও উদয়ন গুহ অবশ্য তাঁর স্বল্প সময়ের বক্তব্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কথাই তুলে ধরেন। আলাদা করে কোচবিহার জেলার কিছু কথা আর বলেননি তিনি। উদয়ন এ দিন বলেছেন, ‘‘আমরা পুরনো কাজ দ্রুত গতিতে শেষ করছি। দফতরের ৩৩৩টি কাজের মধ্যে ৩০২টি হয়ে গিয়েছে। ৩১ টি বাকি রয়েছে। সেই কাজের মধ্যে বেশ কিছু আলিপুরদুয়ারে রয়েছে।’’

সেই সঙ্গে এঅ সভায় উদয়ন ফালাকাটা কলেজের স্টেডিয়াম ও জয়ন্তী নদীর উপরে সেতুর উদ্বোধন করার কথাও তুলে ধরেন। কোচবিহার জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত ছিলাম। সরকারি সমস্ত প্রকল্পের রিপোর্ট ফাইলবন্দি করে রাখা হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রশাসনিক বৈঠকে ডাকা হয়নি।’’

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের লাগোয়া জেলা কোচবিহার। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক বৈঠকে দুই জেলার প্রশাসনের আধিকারিক থেকে জনপ্রতিনিধিদের এক সঙ্গে ডাকা হয়েছে। এ বার অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী শুধু আলিপুরদুয়ারকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি প্রকল্প থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা নানা বিষয় নিয়েই একাধিক সময়ে কোচবিহার থেকে নানা অভিযোগ ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী পাশের জেলায় রয়েছেন, এমন সময়ে এই ধরনের কোনও অভিযোগ উঠলে তা প্রশাসন-পুলিশের ক্ষেত্রে সুবিধের হবে না। সে কথা মাথায় রেখেই সবাইকে আগে থেকেই সতর্ক করে নিজের-নিজের দায়িত্ব পালনে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়।

কোচবিহার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এর আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করতে দিল্লি পুলিশের কোচবিহার আসা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বারও যাতে তেমন কোনও বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে না পড়তে হয়, তা নিয়ে সবাই তৎপর ছিল। সমস্ত বিষয়ের রিপোর্ট নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছিলাম আমরা। তবে শেষ পর্যন্ত তা
প্রয়োজন হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement