স্বস্তি: ২০১৭-র পরে দেশের হয়ে গোল মুলারের। গেটি ইমেজেস
বিশ্বকাপ যোগ্যতা আর্জন
জার্মানি ২ রোমানিয়া ১
অবশেষে জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করলেন থোমাস মুলার। ২০১৭-র পরে প্রথম বার। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে শুক্রবার পিছিয়ে পড়েও রোমানিয়াকে ২-১ হারাল জার্মানি। এই জয় কাতারে মুলারদের খেলা অনেকটাই নিশ্চিত করল। পরের ম্যাচে উত্তর ম্যাসিডোনিয়াকে হারালেই জার্মানি যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। অবশ্য একইসঙ্গে রোমানিয়াকে অন্তত ড্র করতে হবে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে।
হামবুর্গে খেলার ন’মিনিটেই রোমানিয়ার ইয়ানিস হাজি ১-০ করে দিয়ে চমকে দেন। রেঞ্জার্সের এই মাঝমাঠের ফুটবলার অ্যান্টোনিয়ো রুডিগারের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল বার করে অসাধারণ গোল করে আসেন। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কিছুই করার ছিল না জার্মান গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানের। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করেন স্যাজ নাব্রি। বক্সের বাইরে থেকে মারা একটা নিখুঁত শটে। দেশের হয়ে ৩০টি ম্যাচে ২০টি গোল করে ফেললেন নাব্রি। জার্মানি জয়ের গোল পায় ৮১ মিনিটে। পরিবর্ত হিসেবে নামা মুলার ২-১ করেন লিয়ন গোরেৎজ়স্কার পাস থেকে।
মজার ব্যাপার, বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জার্মানি প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ জিতল। শেষ বার এ রকম হয়েছিল ১৯৩৭-এ। জার্মানি যে ম্যাচে ৪-১ হারিয়েছিল এস্তোনিয়াকে। পাশাপাশি জার্মানির হয়ে ১০৭টি ম্যাচে ৪০টি গোলের মালিক এখন মুলার। দেশের জার্সিতে শেষ গোল করেছিলেন ২০১৭-র মার্চে আজ়েরবাইজানের বিরুদ্ধে। অবশ্য তার পরে টানা দু’বছর তাঁকে জাতীয় দলে খেলার জন্য ডাকেননি তখনকার কোচ ওয়াকিম লো। এখন মুলারদের কোচ অবশ্য বায়ার্ন মিউনিখে দারুণ সফল হ্যান্সি ফ্লিক। ইউরোর পরেই তিনি লো-র জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর প্রশিক্ষণে চারটি ম্যাচই জিতল জার্মানি। স্বভাবতই জার্মানরা এখন ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ম্যাসিডোনিয়ার থেকে এগিয়ে ছ’পয়েন্টে।
ম্যাচের পরে ফ্লিক বলেছেন, ‘‘খেলার শুরুতেই পিছিয়ে পড়লে রক্তচাপ বেড়ে যেতে বাধ্য। আমারও সেটাই হয়েছিল। তবে ম্যাচে এক সেকেন্ডের জন্যও ছেলেরা লড়াই ছাড়েনি। যোগ্য দল হিসেবেই আমরা জিতেছি। ওরা একটা গোল করে এগিয়ে গেলেও আগাগোড়া আমাদেরই প্রাধান্য ছিল।’’ নাব্রির প্রতিক্রিয়া, ‘‘যত তাড়াতাড়ি আমরা কাতারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলি, ততই ভাল। আজ কিন্তু রোমানিয়াকে হারিয়ে সেই লক্ষ্যে দল অনেটাই এগিয়ে গেল। এখন পরের ম্যাচ জিতে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে পারলেই সবচেয়ে ভাল হয়।’’
রাশিয়ার জয়: নিছক ভাগ্যের জোরে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের এইচ গ্রুপে রাশিয়া ১-০ জয় পেল স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে।