ট্রফি নিয়ে ভারতীয় দল। ছবি: পিটিআই।
২৭ দিনের যাত্রা। ন’টি ম্যাচ। সব পেরিয়ে অবশেষে টি-টোয়েন্টিতে ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কানাডার বিরুদ্ধে পরিত্যক্ত ম্যাচ বাদ দিয়ে যে আটটি ম্যাচে ভারত খেলতে নেমেছে, প্রতিটিতেই তারা জিতেছে। রোহিত শর্মাদের বিশ্বজয়ের নেপথ্যে রয়েছে অনেক কারণ। তার মধ্যে পাঁচটি খুঁজে বার করল আনন্দবাজার অনলাইন।
১) সামনে থেকে রোহিতের নেতৃত্ব
বিশ্বকাপ শুরুর আগে রোহিত নিজেও জানতেন এটাই তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। খেলবেন কি খেলবেন না সেটা নিয়ে দীর্ঘ দিন দোলাচল ছিল। তবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামা রোহিত কোনও খামতি রাখতে চাননি। গোটা প্রতিযোগিতায় নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন। ফাইনাল বাদে প্রায় প্রতি ম্যাচেই তাঁর ব্যাটিং নজর কেড়ে নিয়েছে। আগ্রাসী শুরুর কারণে বাকিদের উপরে চাপ কমে গিয়েছিল। অল্পের জন্য শীর্ষ রান সংগ্রাহক হতে পারেননি রোহিত।
২) প্রতিযোগিতা জুড়ে আরশদীপের বোলিং
ভারতের বোলিং বিভাগের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন আরশদীপ সিংহ। যুগ্ম ভাবে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন। একমাত্র ইংল্যান্ড ম্যাচ ছাড়া প্রতি ম্যাচেই তিনি উইকেট নিয়েছেন। স্পিন হোক বা পেস, সব রকম পিচেই আরশদীপ নিজের জাত চিনিয়েছেন। তাঁর ফর্ম ভারতের ট্রফি জয়ের অন্যতম কারণ।
৩) বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া
আমেরিকায় গ্রুপ পর্বে পেস সহায়ক এবং ধীর গতির পিচ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে আবার স্পিনারেরা সাহায্য পাচ্ছিলেন বেশি। দুই দেশেই বাকি দলগুলির থেকে অনেক ভাল ভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিল ভারত। আমেরিকায় গিয়ে তারা মহম্মদ সিরাজকে খেলিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে গিয়ে সিরাজকে বসিয়ে খেলানো শুরু হল কুলদীপ যাদবকে। এই পরিবর্তন বড় সাহায্য করেছে।
৪) স্পিন বোলিং নির্ভর আক্রমণ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে গিয়ে স্পিন বোলিংয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিতেই হত ভারতকে। সেটা তারা করেছে সফল ভাবেই। হার্দিক পাণ্ড্য এবং শিবম দুবের মতো পেসার-অলরাউন্ডার নিয়ে গেলেও বুদ্ধি করে তাঁদের দিয়ে বেশি বল করানো হয়নি। বরং আস্থা রাখা হয়েছে অক্ষর পটেল, কুলদীপ যাদব এবং রবীন্দ্র জাডেজার উপরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মাটিতে পাঁচটি ম্যাচে স্পিনারেরা ১৭টি উইকেট পেয়েছেন। তার চেয়ে বড় কথা, রান দিয়েছেন অনেক কম।
৫) ওপেনিং জুটির উপর ভরসা না করা
বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা ওপেন করতে নামায়, স্বাভাবিক ভাবেই কোনও দল তাঁদের উপরে বাড়তি ভরসা করবে। তবে রোহিত শর্মাদের চিন্তামুক্ত করেছে মিডল অর্ডারের পারফরম্যান্স। প্রতিটি ম্যাচেই মিডল অর্ডারের কেউ না কেউ রান করে দিয়েছেন। পাকিস্তান ম্যাচে ঋষভ পন্থ, আমেরিকা, আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড ম্যাচে সূর্যকুমার, বাংলাদেশ ম্যাচে হার্দিক পাণ্ড্য দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন। দুম করে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেননি। ফলে লম্বা ইনিংস গড়তে তা সাহায্য করেছে।