আরও বিপাকে সুশীল কুমার। ফাইল চিত্র
দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল সুশীল কুমারের আরও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করল। বুধবার হরিয়ানার ভামলা গ্রামে ফাঁদ পেতে সুরজিত গ্রেওয়াল নামক এই কুস্তিগীরকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি গত ৪ মে ছত্রসাল স্টেডিয়ামে সাগর রানাকে খুন করার সময় ধৃত সুরজিত অলিম্পিক্সে জোড়া পদকজয়ী কুস্তিগীররে সঙ্গে ছিলেন। গ্রেফতার করার সময় সুরজিতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ।
দীর্ঘ জেরার পর পুলিশের কাছে ২৩ বছরের সাগর রানা হত্যাকান্ডের বিবরণ তুলে ধরেছেন সুরজিত। সেই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে সুরজিত জানিয়েছেন, ৫ মে সোনু নামক একজনকে বীভৎস ভাবে মারেন সুশীল। বীরেন্দ্র নামে এক প্রশিক্ষককেও মেরেছিলেন অলিম্পিক্সে পদজয়ী কুস্তিগীর। নাংলইতে একটি আখড়া তৈরি করেছিলেন বীরেন্দ্র। সেখানে গত ৩ মে ৫০-৬০ জন কুস্তিগীরকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন সাগর। তাতেই রেগে যান সুশীল। এরপরেই রাগ মেটাতে ছত্রশাল স্টেডিয়ামে সুশীল খুন করেন বলে বলে বয়ান দিয়েছেন সুরজিত।
সুশীলের সঙ্গে নিজস্বী তোলার জন্য সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। ফাইল চিত্র
সুরজিতের কথা অনুযায়ী ৪ মে সকাল থেকে সাগরের খোঁজ করছিলেন সুশীল। সেই দিন সুশীল এবং নীরজ বাওয়ানা মিলে অমিত এবং রবীন্দ্র নামে দুই কুস্তিগীরকে মারেন। তার পর তাঁরা সাগর এবং সোনুর বাড়িতে যান। সেখানে তাঁদের মারধরের পর ছেড়ে দেন সুশীলরা। হাসপাতালে যেতে হয়েছিল সোনু এবং সাগরকে।
সুরজিত আরও জানিয়েছেন, সাগর রানার আর এক সাগরেদ ভগত সিংহকে অপহরণ করেন সুশীল। ভগতের স্ত্রী পুলিশকে জানান যে তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর সুশীল একবার ভগতের স্ত্রীকে ভিডিয়ো কল করেছিলেন। বলেছিলেন তাঁর স্বামীকে কেউ অপহরণ করেনি। এরপর সারা রাত ভগতকে মারধর করেন সুশীলরা। ভগতের স্ত্রীর সন্দেহ দূর না হওয়ায় ফের পুলিশের কাছে যান তিনি। ভগতকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন সুশীলরা।