প্রণতি নায়েক। ছবি: টুইটার থেকে
পিংলার মেয়ে ২৫ জুলাই খেলতে নামবে অলিম্পিক্সে। টোকিয়োর মাঠে। মা-বাবার স্বপ্নপূরণ হয়ে গিয়েছে এতেই। ছোটবেলা থেকে দস্যিপনা করা মেয়েটি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে। ভেবেই যেন আনন্দে চোখ ভিজল মায়ের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের করকাই চককৃষ্ণদাস গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন প্রণতি নায়েক। বাবা শ্রীমন্ত নায়েক এবং মা প্রতিমা নায়েক ২৫ জুলাই ভোর সাড়ে ৬টায় চোখ রাখবেন টিভির পর্দায়। সেই সঙ্গে হয়তো চোখ রাখবে গোটা দেশ।
টোকিয়ো যাওয়ার আগে বাড়িতে ঘুরে গিয়েছিলেন প্রণতি। তাঁর মা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত ছিল। গাছে ওঠা, পুকুরে ঝাঁপ দেওয়া, এই সবই করতো। তবে খেলার সঙ্গে মন ছিল পড়াশোনাতেও। ওর সেজ মামী ভর্তি করে দিয়েছিল জিমন্যাস্টিক্সে। আমি গর্বিত যে ও এত দূর পৌঁছতে পেরেছে।”
প্রতিমা নায়েক এবং শ্রীমন্ত নায়েক। —নিজস্ব চিত্র
জিমন্যাস্টিক্সে ভারতের হয়ে নামবেন প্রণতি। গত বার একটুর জন্য পদক পাননি দীপা কর্মকার। এ বার নজর প্রণতির দিকে। লড়াই কঠিন জানেন প্রণতিও।
বাবা শ্রীমন্ত নায়েকও গর্বিত মেয়ের সাফল্যে। বলেন, “অভাবের সংসারে ঠিক মতো খাবার দিতে পারিনি। তার পরেও যে ও এত দূর যেতে পেরেছে, আমি তাতেই গর্বিত। দেশের নাম উজ্জ্বল করুক ও।” মেয়ের হার না মানা জেদে ভরসা আছে শ্রীমন্তের। অলিম্পিক্সে ভাল কিছু করে দেখাবেন প্রণতি, এমনটাই আশা তাঁর। প্রতিমা বলেন, “ফোনে কথা হয় ওর সঙ্গে। ঠিক মতো অনুশীলন করার কথা বলেছি।”
পরিবারের চোখে মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন। দেশের মানুষেরও নজর প্রণতির দিকে। ২৫ জুলাই যোগ্যতা অর্জন পর্বের দিকে চোখ থাকবে সকলের।