খুনের দায়ে অভিযুক্ত সুশীল কুমার। —ফাইল চিত্র
অলিম্পিক্সে পদকজয়ী কুস্তিগীর, নাকি খুনের দায়ে অভিযুক্ত সুশীল কুমার, কাকে মনে রাখবে ভারতবাসী? ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জেতেন সুশীল। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে আশা বেড়ে যায়। সেই আশা পূরণও করেন ভারতীয় কুস্তিগীর। রুপো জিতেছিলেন তিনি। তবে আরও বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনায় জড়িয়ে যায় সুশীলের নাম।
২ বার অলিম্পিক্স পদক জিতলেও ২০১৬ সালে সুশীল নয়, ৭৫ কিলোগ্রাম বিভাগে বেছে নেওয়া হয় নরসিংহ যাদবকে। পছন্দ হয়নি সুশীলের। দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন সুশীল। দাবি করেন অনৈতিক ভাবে নরসিংহকে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে তাঁর বদলে। অলিম্পিক্সের ৩ সপ্তাহ আগে ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হন নরসিংহ। তিনি অভিযোগ করেন সুশীল তাঁর খাবারে কিছু মিশিয়ে দিয়েছিলেন।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে ইচ্ছাকৃত জিতেন্দ্র কুমারকে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে সুশীলের বিরুদ্ধে। ম্যাচে জয় পান জিতেন্দ্র। তবে অভিযোগ তাঁর আঙুল বেঁকিয়ে দিয়েছিলেন সুশীল।
২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে সুশীল ছাড়াও পদক পেয়েছিলেন যোগেশ্বর দত্ত। ২ জনে একসময় খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। খুব বেশিদিন যদিও তা স্থায়ী হয়নি। তাঁদের ২ জনের মধ্যেও একবার গণ্ডগোল হয়। একই অভিযোগ করেছিলেন বজরং পুনিয়া। এ বারের অলিম্পিক্সে পদক আনতে তাঁর ওপরেই ভরসা করছে ভারত। শুধু সতীর্থ নয়, একাধিক প্রশিক্ষকের সঙ্গে গণ্ডগোল হয় সুশীলের।
৪ মে-র ঘটনার পর সুশীল পালিয়ে যাওয়ায় তাঁর ওপর সন্দেহ দেখা দেয়। অভিযোগ ওঠে ২৩ বছরের এক কুস্তিগীর এবং তাঁর সতীর্থদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করেন সুশীল এবং তাঁর সঙ্গীরা। মারা যান সাগর রানা নামক কুস্তিগীর। রবিবার সুশীলকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।