স্বপ্নিল কুসালে। ছবি: এক্স।
অলিম্পিক্সে ভারতের আরও একটি পদক। ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতের স্বপ্নিল কুসালে। তিনটি পদকই এল শুটিং থেকে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের স্নায়ু ধরে রেখে দেশকে পদক এনে দিলেন তিনি। মনু ভাকের, সরবজ্যোৎ সিংহের পর তৃতীয় পদক এল স্বপ্নিলের হাত ধরে। ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে এই প্রথম অলিম্পিক্সে পদক জিতল ভারত।
ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করলেও কঠিন এই ইভেন্ট থেকে স্বপ্নিল যে পদক এনে দিতে পারেন, এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি। শুরুটা খুব একটা ভালও হয়নি তাঁর। প্রথমে ছিল ‘নিলিং’, অর্থাৎ হাঁটু মুড়ে বসে শুটিং। সেখানে প্রথম সিরিজ়ে (পাঁচটি শট) ৫০.৮ স্কোর করেন তিনি। শুরুতেই নেমে যান সাতে। পরের সিরিজ়ে স্কোর হয় আর একটু ভাল, ৫০.৯। তৃতীয় সিরিজ়ে অনেকটা এগিয়ে ৫১.৬ স্কোর করেন।
এর পরে ‘প্রোন’, অর্থাৎ বুকে ভর দিয়ে শুটিং ছিল। সেখানে প্রতিটি সিরিজ়েই ভাল স্কোর করেন তিনি। ৫২.৭, ৫২.২ এবং ৫১.৯ স্কোর করে চারে উঠে আসেন। এর পর ‘স্ট্যান্ডিং’, অর্থাৎ দাঁড়িয়ে শুটিং বিভাগের দু’টি সিরিজ়ে ৫১.১ এবং ৫০.৪ স্কোর করেন। তখনই তিনি তিন নম্বরে উঠে এসে পদকের আশা দেখাতে শুরু করেন।
এর পরেও বাকি ছিল লড়াই। একটি শটের পরে ‘এলিমিনেশন’ ছিল। অর্থাৎ এক জন করে বাদ পড়ছিলেন। তিন নম্বর স্থান ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল স্বপ্নিলের কাছে। তিনি প্রথম শটে ১০.৪ মারার পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শটে ৯.৪ ও ৯.৯ স্কোর করেন। তবে চতুর্থ স্থানে যিনি ছিলেন, তাঁর সঙ্গে এতটাই পার্থক্য ছিল যে, স্বপ্নিল তৃতীয় স্থানে থেকে যান এবং ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেন।
তবে ব্রোঞ্জ থেকে রুপো পেতে গেলে ভাল শট মারতে হত স্বপ্নিলকে। তিনি ১০.০ মারেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সের্হি কুলিশের সঙ্গে ০.৬ পয়েন্টের পার্থক্য ছিল। ফলে স্বপ্নিলকে রুপো পেতে গেলে কুলিশকে ৯.৩ স্কোর করতে হত। তিনি ৯.৯ স্কোর করে রুপো নিশ্চিত করে ফেলেন। সোনা জেতেন চিনের ইয়ুকুন লিউ।