আজারবাইজানের তিরন্দাজ ইয়ালাগুল রামাজানোভা। —ফাইল চিত্র।
মনের জোর থাকলে বিশ্ব জয় করা যায়। আজারবাইজানের ইয়ালাগুল রামাজানোভা সেটাই প্রমাণ করলেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে তিনি যখন হাতে তির-ধনুক তুলে নিয়েছেন, তখন গর্ভে সন্তান। সাড়ে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা রামাজানোভা। সেই অবস্থাতেই দেশের জন্য লড়েছেন তিনি।
মহিলাদের ব্যক্তিগত বিভাগে নেমেছিলেন রামাজানোভা। র্যাঙ্কিং পর্বে শেষ করেছিলেন ৩৯তম স্থানে। মঙ্গলবার থেকে মহিলাদের তিরন্দাজিতে ব্যক্তিগত ইভেন্ট শুরু হয়েছে। প্রথম রাউন্ডে চিনের কিজুয়ান আনকে হারিয়ে দেন রামাজানোভা। তিনি বলেন, “এত দূর আসতে পেরে আমি গর্বিত। আমার গর্ভের সন্তানও জন্মের পর এই লড়াইয়ের কথা জানতে পারলে গর্ব বোধ করবে।”
৩৪ বছরের রামাজানোভা প্রথম রাউন্ডে জেতেন ৬-৫ স্কোরে। প্রথম সিরিজ়ে হেরে গিয়েছিলেন আজারবাইজানের তিরন্দাজ। দ্বিতীয় রাউন্ডে ফিরে আসেন তিনি। হারান র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা চিনা খেলোয়াড়কে। প্রথম চারটি সিরিজ়ের পর সমান পয়েন্ট ছিল তাঁদের। পঞ্চম সিরিজ়টি ড্র হয়। এর পর শুরু হয় টাইব্রেকার। সেখানে ম্যাচ জিতে নেন রামাজানোভা।
সকলকে অবাক করে দিয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেন সাড়ে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা রামাজানোভা। তবে সেখানে তিনি হেরে যান। জার্মানির মিশেল ক্রোপ্পেনের বিরুদ্ধে হেরে যান রামাজানোভা। সেই ম্যাচেও প্রথম সিরিজ়ে হারের পর দ্বিতীয় সিরিজ়টি জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু পরের দু’টি সিরিজ় হেরে বিদায় নেন রামাজানোভা।
এ বারের অলিম্পিক্সে রামাজানোভা একা নন, আরও এক অন্তঃসত্ত্বা লড়াই করছিলেন। মিশরের নাদা হাফেজের গর্ভে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্যারিসে প্রথম ম্যাচে নাদার প্রতিপক্ষ ছিলেন মহিলাদের ফেন্সিংয়ে বিশ্ব ক্রমতালিকায় ১০ নম্বরে থাকা আমেরিকার এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কি। তাঁকে হারিয়ে অলিম্পিক্স অভিযান শুরু করেন নাদা। ১৫-১৩ ব্যবধানে জিতে নজর কাড়েন তিনি। শেষ ১৬-র লড়াইয়ে তিনি হেরে গিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার হা ইয়াং জিয়োনের কাছে।