উচ্ছ্বাস: রোমে শেষ ষোলোয় ওঠার পরে জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স
দানিল মেদভেদেভের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে আগামী সোমবার এক নম্বরে ওঠা আটকাতে হলে নোভাক জোকোভিচকে রোম ওপেনে অন্ততপক্ষে সেমিফাইনালে উঠতেই হবে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার সার্বিয়ার তারকা ৬-৩, ৬-২ ফলে আসলান কারাতসেভকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠলেন এটিপি মার্স্টার্স ১০০০ পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায়।
২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর রিটার্ন এ দিন নিখুঁত ছিল। তিনি বিশ্বের ৩৫ নম্বরের সার্ভ চার বার ভাঙেন। ম্যাচের পরে জোকোভিচ প্রতিপক্ষের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘‘শারীরিক ভাবে আসলান খুব শক্তপোক্ত। ওর বিরুদ্ধে খেলতে নেমে আগাম কিছু বলা যায় না। যদি ও ছন্দে থাকে তা হলে খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বিপক্ষকে চাপেও ফেলে দেয়।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘এ দিন যদিও ও অনেক বলেই ঠিকঠাক শট মারতে পারেনি। দুটো সেটেই আমায় ব্রেকের সুযোগ দিয়েছে। এ রকম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। এই জয় আমাকে আগামী রাউন্ডে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।’’
ফরাসি ওপেনের গত বারের চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত ভাবেই এ বারের প্রতিযোগিতার আগে নিজের সেরা ছন্দে ফেরার লক্ষ্যে আছেন। সেই উদ্দেশে এ রকম জয় তাঁকে অনেকটাই চাপমুক্ত করবে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে জোকোভিচের মতো নজর রয়েছে আর এক চ্যাম্পিয়নের দিকেও। তিনি ফরাসি ওপেনের সম্রাট রাফায়েল নাদাল। তিনি আবার বলছেন, সময়ের সঙ্গে তাঁর শরীর পুরনো যন্ত্রের মতো হয়ে গিয়েছে। তাকে সচল করতে কিছুটা বাড়তি সময় এখন লেগেই যায়। সেই সত্য মেনে নিয়েই তিনি উপহার দিতে চান সেরা টেনিস।
২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক গত সপ্তাহেই মাদ্রিদ ওপেনে স্বদেশীয়, ১৯ বছরের কার্লোস আলকারাজ়ের কাছে হেরেছেন। বুকের পাঁজরে চোটের জন্য ছয় সপ্তাহ বাইরে থাকার পরে রাফা ফিরে এসেছিলেন মাদ্রিদে। কিন্তু কোর্টে উনিশের তারুণ্যের তেজের সঙ্গে তিনি পাল্লা দিতে পারেননি। প্রিয় ফরাসি ওপেনের আগে চূড়ান্ত মহড়া দিতে নাদাল অংশ নিয়েছেন রোম ওপেনে। সেখানেই স্পেনীয় তারকা বলেছেন, “ছ’সপ্তাহ হাতই দিতে পারিনি র্যাকেটে। ফলে এই হার নিয়ে হতাশ নই।” তার পরেই যোগ করেন, “আমার শরীর এখন পুরনো যন্ত্রের মতো হয়ে গিয়েছে। সেই যন্ত্রকে ফের সচল করতে হলে এখন খানিকটা বেশি সময় তো লেগেই যায়। সেই কাজটা আবার আমি শুরু করেছি।”
জোকোভিচ ‘নতুন-রাফা’ কার্লোস আলকারাজ়ের খেলায় মোহিত। তিনি বলে দিচ্ছেন, ফরাসি ওপেনে ট্রফি আলকারেজ়ের হাতেও উঠতে পারে। রোমে জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘আমার চোখে অবশ্য ও সবার থেকে এগিয়ে। জানি, এর আগে কখনও কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি কার্লোস। কিন্তু তার সঙ্গে এ বারের পরিস্থিতি বিচার করাটা নির্বোধের কাজ।’’