—ফাইল চিত্র।
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের ফলে সিঙ্গাপুর ওপেন-সহ টোকিয়ো অলিম্পিক্স ব্যাডমিন্টনে যোগ্যতা অর্জনের তিনটি প্রতিযোগিতা ইতিমধ্যে স্থগিত বা বাতিল হয়েছে। যার ফলে তাঁর ও সাইনা নেহওয়ালের এ বার অলিম্পিক্স যাত্রার সম্ভাবনা কার্যত আটকে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও আশাহত হচ্ছেন না কিদম্বি শ্রীকান্ত। তাঁর মনে হচ্ছে, বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা অলিম্পিক্স বাছাই পর্ব নিয়ে যে বিবৃতি প্রকাশের কথা জানিয়েছে, সেখান থেকে আশার আলো দেখা গেলেও যেতে পারে।
ভারতীয় ও মালয়েশীয় ওপেনের পরে বুধবারই বাতিল হয়েছে সিঙ্গাপুর ওপেন। যা ১-৬ জুন হওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যেই বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা জানিয়েছে, টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন নিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। সেই বিবৃতিতেই আশার আলো দেখছেন শ্রীকান্ত। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘‘বাছাই পর্বের প্রতিযোগিতা হলে অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র পেয়ে যেতাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার কিছু করার নেই। এখন দেখার যোগ্যতা, অর্জন প্রসঙ্গে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা কী বিবৃতি দেয়। এতে কিছুটা আশাবাদী হচ্ছি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘সংস্থা কী বলবে তা নিয়ে ভাবার চেয়েও আমি বেশি আগ্রহী, টোকিয়ো অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র পেতে পারি কি না।’’ এই মুহূর্তে ব্যাডমিন্টনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অগস্ট পর্যন্ত কোনও প্রতিযোগিতা নেই। শ্রীকান্তের রাজ্য তেলঙ্গনাতেও লকডাউন। তাই অনুশীলনও বন্ধ প্রাক্তন এক নম্বর এই খেলোয়াড়ের। তাঁর কথায়, ‘‘এখন ছুটি কাটাচ্ছি। অনুশীলন করার জন্য অনুমতি জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। যদি তা পাই, তা হলে আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে মহড়া।’’ শ্রীকান্তকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা তাঁর আশা অনুযায়ী কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে অন্য পথে হাঁটে? শ্রীকান্তের উত্তর, ‘‘বাছাই পর্বের প্রতিযোগিতা না হওয়ায় আমরা এখন অনেক কিছুই বলতে পারি। কিন্তু কেউ জানি না আয়োজকদের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার কী কথা চলছে।’’
শ্রীকান্তদের মতোই এখন অলিম্পিক্সগামী খেলোয়াড় পি ভি সিন্ধু, বি সাই প্রণীত, ডাবলস খেলোয়াড় চিরাগ শেট্টি ও সাত্ত্বিকসাইরাজ রনকিরেড্ডিও ছুটি কাটাচ্ছেন। বিশ্বের ১৫ নম্বর খেলোয়াড় বলেছেন, ‘‘তিনটি প্রতিযোগিতা বাতিল বা স্থগিত হয়ে গেলে হতাশ তো লাগবেই। সাত সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করেছি। এখন লক্ষ্যহীন ভাবে অনুশীলনের কোনও অর্থ হয় না। অলিম্পিক্সের জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে অনুশীলন শুরু করব।’’ চিরাগের কথায়, ‘‘এ রকম অবস্থায় মনকে একাগ্র রাখা খুব কষ্টকর। ভারতীয় ওপেনের আগে দেড় মাস অনুশীলন করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। এখন কোনও প্রতিযোগিতা সামনে নেই। আমি ও সাত্ত্বিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপাতত বিশ্রামে থাকব। ব্যাডমিন্টন নিয়ে ভাবব না। আগামী সপ্তাহ থেকে শিবিরে যাব। যদিও অলিম্পিক্সের মূল প্রস্তুতি শুরু হবে প্রতিযোগিতার দেড় মাস আগে।’’ বিশ্রামে রয়েছেন সিন্ধুও। তাঁর বাবা পি ভি রামানা বলছেন, ‘‘কোচ পার্ক তে সাং ওকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রচুর পরিশ্রম করিয়েছেন। তাই সিন্ধুকে এখন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।’’
প্রতিযোগিতার অভাবে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি ব্যাহত হতে পারে কি না জানতে চাইলে চিরাগ বলেছেন, ‘‘ম্যাচ না খেলে অলিম্পিক্সে যাওয়া খুব কঠিন। তবে এর ভাল দিকও রয়েছে। বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়েরও ছন্দে ফেরার তাগিদ রয়েছে। যা ওদের কাছে একটা চাপ। ফলে আমরা কম চাপে থাকব।’’