হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: আইপিএল
ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ারদের বিচারে আইপিএল ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হলেন হার্দিক পাণ্ড্য। গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক ফাইনালে বল হাতে নেতৃত্ব দিলেন দলকে।
আইপিএলে তেমন বল করছিলেন না। কিন্তু ফাইনালে বল হাতে নিয়েই কামাল করলেন হার্দিক। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তুলে নিলেন রাজস্থান রয়্যালসের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তাঁর তিনটি উইকেটের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য জস বাটলারের উইকেট। এ বারের আইপিএলের সর্বোচ্চ রান শিকারিকে সাজঘরে ফেরালেন গুজরাত অধিনায়ক। প্রথম থেকে দল ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোয় বাটলার এ দিন তেমন আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু, তাঁকে সে সুযোগও দিলেন না হার্দিক। ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে বাটলার সাজঘরে ফিরলেন ৩৫ বলে ৩৯ রান করে।
এর আগেই অবশ্য বিপক্ষ শিবিরকে ধাক্কা দেন গুজরাত অধিনায়ক। ফাইনালে তাঁর প্রথম শিকার রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (১১ বলে ১৪)। হার্দিক আউট করলেন রাজস্থানের আর এক বিপজ্জনক ব্যাটার শিমরন হেটমেয়ারকে (১২ বলে ১১)। হার্দিক শুধু তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটই তুললেন না, কৃপণ বোলিংও করলেন। তাঁর বলের নড়াচড়া বুঝতে বুঝতেই রাজস্থানের ইনিংসের ভিত নড়ে গেল। মূলত তাঁর বলের দাপটেই ধসে গেল রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডার।
পরে ব্যাট হাতেও দলের ইনিংসকে ভরসা দিলেন হার্দিক। করলেন ৩০ বলে ৩৪ রান। মারলেন ৩টি চার, ১টি ছয়। উল্লেখ করতে হবে তাঁর পরিণত নেতৃত্বের কথাও। তাঁর কাঁধে ভর দিয়েই প্রথম বারেই চ্যাম্পিয়ন হল গুজরাত। আইপিএলের খেতাবি লড়াইয়ে এমন দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্যই ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ারদের বিচারে গুজরাত-রাজস্থান ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হলেন হার্দিক।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।