রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ছবি: আইপিএল
আইপিএল ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। গুরাত টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য বলেন, তাঁদের অসুবিধে নেই। কারণ, তাঁরা টস জিতলে আগে বলই করতেন। রাজস্থান প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৩০ রানের বেশি করতে পারেনি। এখন প্রশ্ন, টস জিতে সঞ্জুর ব্যাট কারর সিদ্ধান্ত কি ঠিক ছিল?
শুরুতে ব্যাট করার পিছনে সঞ্জুর যুক্তি ছিল, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভাল উইকেট। একেবারে শুকনো। তাই আমরা প্রথমে ব্যাট করে নিতে চাই। তা ছাড়া এই উইকেট ব্যবহৃত। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে এটা আমাদের স্পিনারদের সাহায্য করবে।’’ উল্টো দিকে হার্দিকের বক্তব্য ছিল, তাঁরা এই উইকেটে আগে বল করতেন।
রান তোলার ক্ষেত্রে রাজস্থানের প্রথম চার ওভারে কিছুটা গতি ছিল। তারা ৩১ রান তোলে। পাওয়ার প্লে-র ছ’ওভারে রান ওঠে ৪৪। প্রথম ১০ ওভারে রাজস্থান তোলে ৭১ রান। দুই উইকেট হারালেও তখনও ক্রিজে ছিলেন এই আইপিএলে রানের পাহাড় গড়া জস বাটলার।
রশিদ খান আর হার্দিক আসতেই রান তোলার গতি কমে যায়। ১১ থেকে ১৪ ওভারে রান ওঠে যথাক্রমে ৪, ৪, ৩, ২। তার মধ্যে বাটলারের উইকেট তুলে নেন হার্দিক। দেবদত্ত পাড়িক্কলকে ফেরান রশিদ। তাঁকেই সব থেকে দিশাহীন দেখিয়েছে। ১০ বল খেলে মাত্র ২ রান করেন পাড়িক্কল। হেটমেয়ার ১২ বলে ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। রশিদের লেগস্পিন এবং হার্দিকের মিডিয়াম পেসের যুগলবন্দি আটকে রাখে বাটলার-হেটমেয়ারদের। রশিদের চার ওভারে ১৮, হার্দিকের চার ওভারে ১৭ রান ওঠে। মারার কোনও জায়গাই দেননি তাঁরা।
‘শুকনো উইকেট’ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সঞ্জুরা। ২০ ওভারের মধ্যে মাত্র পাঁচটি ওভারে রাজস্থান ১০ বা তার বেশি রান তুলতে পারে। গোটা ইনিংসে মাত্র ১১টি চার মারতে পারেন রাজস্থানের ব্যাটাররা। ছয় হয় মাত্র চারটি। আইপিএল ফাইনালে এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। ২০১৭ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রথমে ব্যাট করে ১২৯ রান তুলেছিল। রোহিত শর্মা টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন। রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসকে অবশ্য তারা ১ রানে হারিয়েছিল।
উইকেট হয়ত বুঝতে পারেননি সঞ্জু। হার্দিক টস জিতে কেন বল করতেন তার কোনও ব্যাখ্যা না দিলেও তিনি যে আমদাবাদের উইকেট ঠিকঠাক পড়তে পেরেছেন, তা স্পষ্ট।