এই জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট হল হার্দিকদের। দু’নম্বরে থাকা লখনউ নিজেদের দু’ম্যাচ জিতলেও সর্বোচ্চ ২০ পয়েন্ট হবে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে এ বারের আইপিএলে এক নম্বর দল হিসাবে প্লে-অফে যাচ্ছে গুজরাত।
ভাল বল করলেন শামি ছবি: আইপিএল
আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের জয়ের রথ এগিয়ে চলেছে। এ বার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে হারালেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। প্রথমে বল হাতে মাত্র ১৩৩ রানের মধ্যে চেন্নাইকে আটকে রাখলেন গুজরাতের বোলাররা। ভাল বল করলেন মহম্মদ শামি। পরে ব্যাট হাতে সহজে সেই রান তাড়া করে জিতলেন হার্দিকরা। অর্ধশতরান করলেন ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা। এই জয়ের সঙ্গে আইপিএলের লিগ তালিকার শীর্ষে নিজেদের জায়গা আরও পাকা করল গুজরাত।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। কিন্তু শুরুটা ভাল হয়নি তাঁদের। মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে যান ডেভন কনওয়ে। রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মইন আলি। কিন্তু রানের গতি খুব বেশি ছিল না। ২১ রান করেন মইন। অর্ধশতরান আসে রুতুরাজের ব্যাট থেকে। এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া জগদীশন ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে একটিও চার-ছক্কা মারতে পারেনি সিএসকে। তার ফলে বড় রান করতে ব্যর্থ হন ধোনিরা। মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শামি।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বল থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন ঋদ্ধিমান। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান করতে থাকেন তিনি। ভাগ্যও তাঁকে সঙ্গ দেয়। শুভমন গিলের সঙ্গে অর্ধশতরানের জুটি বাঁধেন ঋদ্ধি। শুভমন ১৮ করে আউট হন। তাঁকে আইপিএলে নিজের প্রথম বলে আউট করেন মালিঙ্গার মতো অ্যাকশনে বল করা শ্রীলঙ্কার মাথিশা পাথিরানা। তিনে নামা ম্যাথু ওয়েড ২০ করেন। রান পাননি হার্দিকও। কিন্তু অন্য দিকে ভাল খেলছিলেন ঋদ্ধি। অর্ধশতরান করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাত। এই জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট হল হার্দিকদের। দু’নম্বরে থাকা লখনউ নিজেদের দু’ম্যাচ জিতলেও সর্বোচ্চ ২০ পয়েন্ট হবে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে এ বারের আইপিএলে এক নম্বর দল হিসাবে প্লে-অফে যাচ্ছে গুজরাত।