আবেশ খান। ছবি: আইপিএল
এগারো নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আইপিএলে নতুন নজির গড়লেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের জোরে বোলার আবেশ খান। মঙ্গলবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে দু’টি ছয় মেরেই এই নজির গড়েছেন আবেশ।
প্রথম দল হিসেবে এ বারের আইপিএলের নকআউট পর্বে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। আইপিএলের আরেক নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে জায়গা পাকা করলেও একটা ছোট লজ্জাকে সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে গুজরাতের ক্রিকেটারদের।
লখনউ ইনিংসের ১৪তম ওভারে বল করতে আসেন গুজরাতের স্পিনার রশিদ খান। তার আগেই তিনি ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। আইপিএলে প্রথম বার ৪ উইকেট পাওয়ার অপেক্ষায় তখন তিনি। সে সময় ব্যাট করছিলেন আবেশ। মধ্যপ্রদেশের তরুণ জোরে বোলার হার নিশ্চিত জেনেও একটা শেষ চেষ্টা করেন। তিনি রশিদকে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন।
রশিদকে পর পর দু’টি বলে একজোড়া বিশাল ছয় মারেন আবেশ। একটি ছয় হয় লং-অন অঞ্চলে। অন্যটি ডিপ স্কোয়ার-লেগ অঞ্চলে। লখনউয়ের হয়ে ১১ নম্বরে নামা ব্যাটারের আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখে সে সময় হেসেও ফেলেন বোলার রশিদ। কিন্তু তিনি বোধহয় জানতেন না আইপিএলে সেরা বোলিং পারফরম্যান্সের দিনেই একটা ছোট্ট লজ্জাকে সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়তে হবে তাঁকে। কারণ আবেশই হলেন আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম এগারো নম্বর ব্যাটার যিনি একাধিক ছয় মারলেন এক ইনিংসে।
উল্লেখ্য, গুজরাত-লখনউ ম্যাচে মোট ছয়ের সংখ্যা মাত্র চার। তার মধ্যে দু’টি ছয় এসেছে আবেশের ব্যাট থেকে। একটি করে ছয় মেরেছেন লখনউয়ের কুইন্টন ডি’কক এবং গুজরাতের ডেভিড মিলার। স্বভাবতই ম্যাচে সবথেকে বেশি ছয় মারার পুরস্কারও ছিনিয়ে নেন লখনউয়ের তরুণ জোরে বোলার।