নিলামে টেবিলে কারা মোটা টাকা পেয়েও ম্যাচে সুযোগ পাচ্ছেন না? — ফাইল চিত্র
এ বারের আইপিএলের মধ্যগগন পেরিয়ে গিয়েছে। সব দলই সাতটির বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আস্তে আস্তে প্লে-অফ নিশ্চিত করার দিকে এগোচ্ছে দলগুলি। অনেক ক্রিকেটারই রয়েছেন, যাঁরা নিলামের টেবিলে চমক দিলেও এই আইপিএলে এখনও খেলার সুযোগ পাননি। তাঁদেরই পাঁচ জনকে খুঁজে বeর করল আনন্দবাজার অনলাইন:
জশ হেজলউড: চেন্নাইয়ের হয়ে দীর্ঘ সময় খেলেছেন। ২০২২-এর নিলামে তাঁকে ৭.৭৫ কোটি টাকায় কিনে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। গত বছর দলের হয়ে ১২টি ম্যাচে খেলেছিলেন। এ বার চোটের কারণে আইপিএলের প্রথম দিকের সাতটি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। বিদেশি বোলার হিসাবে নিয়মিত খেলছেন ডেভিড উইলি। লখনউ ম্যাচের আগে দলে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। দেখার যে বাকি ম্যাচগুলিতে সুযোগ পান কিনা।
কুইন্টন ডি’কক: বিশ্বকাপ সুপার লিগে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ় চলায় লখনউ দলে যোগ দিতে সামান্য দেরি হয়েছিল ডি’ককের। তবে যোগ দিয়েও ৬.৭৫ কোটির ক্রিকেটারকে এখনও মাঠে দেখা যায়নি। আসলে ওপেন করতে নেমে কাইল মায়ার্স প্রতি ম্যাচেই এত ভাল খেলছেন যে তাঁকে বসানোর কথা ভাবছে না লখনউ। উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব সামলে দিচ্ছেন নিকোলাস পুরান। ফলে দরকার পড়ছে না ডি’ককের।
ম্যাথু ওয়েড: গুজরাত টাইটান্সে খেলেন তিনি। ২০২২-এর নিলামে তাঁকে কেনা হয়েছিল ২.৪০ কোটি টাকায়। গত বার শুরুর দিকে বেশ কিছু ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক বার ঋদ্ধিমান সাহা ভাল খেলতে শুরু করায় আর দলে জায়গা হয়নি। এ বার গুজরাতের হয়ে একটি ম্যাচেও খেলেননি তিনি। কবে সুযোগ পাবেন তা-ও নিশ্চিত নয়।
জো রুট: আইপিএল খেলবেন না খেলবেন না করেও গত বারের নিলামে নাম লিখিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক। দলও পেয়ে যান। এক কোটি টাকায় তাঁকে কেনে রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু রুটকে একটি ম্যাচেও সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁর ধীর গতিতে খেলার প্রবণতাই সুযোগ পাওয়ার প্রধান অন্তরায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
লুনগি এনগিডি: চেন্নাইয়ের হয়ে সফল ভাবে আইপিএলে খেলেছেন। ২০২২-এর নিলামে তাঁকে ৫০ লক্ষে কেনে দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু এখনও দিল্লির জার্সি পরে মাঠে নামার সুযোগ পাননি এনগিডি। দেশীয় সতীর্থ অনরিখ নোখিয়াই প্রতিটি ম্যাচে খেলছেন।