শুরুতেই জিতল ধোনির চেন্নাই। ছবি টুইটার
চেন্নাই সুপার কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচকে আইপিএল-এর ‘এল ক্লাসিকো’ বলে ডাকা হয়। দ্বিতীয় পর্বের সূচনা তাই এর থেকে ভাল ম্যাচ দিয়ে হতে পারত না। মরুশহরে আইপিএল-এর শুরুতেই হিসেব উল্টে দিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সিএসকে। মুম্বইকে ২০ রানে হারিয়ে দিল তারা। আইপিএল-এর এই ম্যাচে মুম্বইয়ের জেতার রেকর্ডই বেশি। রবিবার ধোনিরাই শেষ হাসি হাসলেন।
শুরুটা দুর্দান্ত ভাবে করেছিল মুম্বই। দিনের পঞ্চম বলেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ফ্যাফ দু’প্লেসিকে ফিরিয়ে দেন তিনি। সরাসরি অ্যাডাম মিলনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন দু’প্লেসি। পরের ওভারে ফের ঝটকা। এ বার মইন আলিকে তুলে নেন মিলনে। এর আগে প্রথম পর্বে মইনকে তিন নম্বরে নামানোর ফাটকা কাজে লেগেছিল সিএসকে-র। রবিবার তা হল না।
চার নম্বরে নেমেছিলেন অম্বাতি রায়ডু। কিন্তু তৃতীয় বলেই মিলনের ডেলিভারি সজোরে এসে লাগে তাঁর হেলমেটে। মাথা চেপে ধরে বসে পড়েন তিনি। মাঠে কিছুক্ষণ চিকিৎসা চললেও খেলার অবস্থায় ছিলেন না রায়ডু। ফিরে যেতে হয় সাজঘরে। বদলি হিসেবে নামা সুরেশ রায়নাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ ওভার যেতে না যেতেই সিএসকে-র টপ এবং মিডল অর্ডার সাজঘরে।
রায়না ফিরতেই টিভির সামনে বসে থাকা প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয় উদ্বেলিত হয়েছিল তাঁকে নামতে দেখে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিঁড়ি বেয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নামার সময় স্টেডিয়ামের প্রত্যেকে প্রবল চিৎকার করে অভিবাদন জানালেন। তিন ওভারের মাথায় এর আগে কবে কোনও আইপিএল ম্যাচে নেমেছেন ধোনি, একথা কেউই মনে করতে পারছেন না। তাঁর সামনে সুযোগ ছিল ঠান্ডা মাথায় খেলে নায়ক হয়ে ওঠার। কিন্তু সেই মঞ্চ কাজে লাগাতে পারলেন না। মাত্র ৩ রান করে ফিরে যেতে হল তাঁকে।
তার পরেও যে সিএসকে-র রান দেড়শো পেরোল, তার পিছনে একজনেরই কৃতিত্ব। তিনি রুতুরাজ গায়কোয়াড়। গত বার এই দুবাইয়ে যাঁর অভিষেক হয়েছিল আইপিএল মঞ্চে। উল্টোদিকে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও তিনি ছিলেন অবিচল। কখনও তাঁর সঙ্গী রবীন্দ্র জাডেজা, কখনও ডোয়েন ব্রাভো। রুতুরাজ চুপচাপ নিজের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। এক বারও ভুল করতে দেখা যায়নি। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে দলের রান দেড়শোর গন্ডি পার করে দিলেন।
সিএসকে যে ভাবে শুরু করেছিল, মুম্বইকেও সেই অবস্থায় পড়তে হয়। পর পর চার মেরে কুইন্টন ডি’কক শুরুটা ভাল করলেও কিছুক্ষণ পরেই ফিরে যান। সূর্যকুমার যাদব এবং ঈশান কিশনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। একা কুম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভ তিওয়ারি। তবে সঙ্গীর অভাবে তিনিও ম্যাচ শেষ করে আসতে ব্যর্থ।