উইকেট নেওয়ার পরে রাবাদাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন দিল্লির ক্রিকেটাররা।
এই শারজাতেই কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ২২৩ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালস করেছিল পাহাড়প্রমাণ ২২৮ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের মতো জয় ছিনিয়ে আনতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স।দিল্লির কাছে ১৮ রানে হারতে হল নাইট-বাহিনীকে।
শারজার মাঠ আকারে ছোট। এই মাঠে আন্দ্রে রাসেল খুব সহজেই ছক্কা মারতে পারবেন। আর রাসেল চলতে শুরু করলে টার্গেট যত কঠিনই হোক, তা টপকে যাওয়া সম্ভব। এ কথা তো সবারই জানা। ফলে স্কোর বোর্ডে দিল্লির বিশাল রান দেখার পরেও নাইট-ভক্তদের মনে আশা ছিল অবিশ্বাস্য কিছু করে ম্যাচ জিতে নিতে পারে কলকাতাও।
একসময়ে নিজেদের কাজটা কঠিনই করে তুলেছিল দু' বারের চ্যাম্পিয়নরা। শেষের দিকে মর্গ্যান ও রাহুল ত্রিপাঠীর ছক্কা-বর্ষণে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে দেয় কলকাতা। ৭৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দিল্লিকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন দুই নাইট। কিন্তু শেষরক্ষা আর তাঁরা করতে পারেননি। মাসল-রাসেল (৮ বলে ১৩ রান) বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেননি। নীতীশ রাণা (৫৮), মর্গ্যান (১৮ বলে ৪৪ রান) এবং রাহুল ত্রিপাঠীর (১৬ বলে ৩৬) লড়াইয়ে কলকাতা শেষ পর্যন্ত করে ৮ উইকেটে ২১০ রান।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কার্তিক। ভুল সিদ্ধান্ত একেবারেই বলা যাবে না। বোলারদের উপরে ভরসা করেছিলেন কলকাতা-ক্যাপ্টেন। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্যাট কামিন্স, কমলেশ নাগারকোটি, শিবম মাভিরা আগুনে পারফরম্যান্স তুলে ধরেছিলেন। এ দিন তাঁদের কাছ থেকে একই রকম পারফরম্যান্স চেয়েছিলেন কার্তিক। কিন্তু প্রতিদিন তো আর একই ভাবে বল করা যায় না! দিল্লির ব্যাটসম্যানদের মার হজম করতে হল কামিন্সদের।
শারজার মাঠে চাপে থাকেন বোলাররাই। সেটাই দেখা গেল। দুই ওপেনার- শিখর ধওয়ন ও পৃথ্বী শর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে কামিন্স-মাভিরা শুরুতেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। হায়দরাবাদ ও রাজস্থানের বিরুদ্ধে দারুণ লাইন-লেন্থে বল করেছিলেন কামিন্স। এ দিন প্রথম দু' ওভারে ২১ রান দিয়ে ফেলেন অজি পেসার। শিবম মাভিও আগের ম্যাচের মতো নজর কাড়তে পারেননি। বাধ্য হয়ে কার্তিক বল করতে ডাকেন সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীকে। কেকেআর-এর মিস্ট্রি স্পিনার বরুণের বলেই শিখর ধওয়ন ২৬ রানে আউট হন। বল হাতে সুনীল নারিনকে নিষ্প্রভই দেখাল। কার্তিক তাঁকে দিয়ে ২ ওভার করালেন। এই দু' ওভারে ক্যারিবিয়ান স্পিনার ২৬ রান দেন।
কলকাতার বোলারদের শাসন করল পৃথ্বী শ-র ব্যাট। ৪১ বলে ৬৬ রান করে নাগারকোটির বলে তিনি আউট হন। পৃথ্বী ফেরার পরে দিল্লির ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। কী দুর্দান্ত ইনিংসটাই না খেললেন তিনি। ৩৮ বলে বিধ্বংসী ৮৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান দিল্লি অধিনায়ক। সাতটা চার ও ছ'টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। ঋষভ পন্থ চটজলদি ১৭ বলে ৩৮ রান করেন। ব্যাটসম্যানরা জ্বলে ওঠায় এ বারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্কোর করল দিল্লি।
আরও পড়ুন: কারও নাম না করে পাঠানের টুইট, লক্ষ্য কি ধোনি?
ব্যাট করতে নেমে সুনীল নারিন মাত্র ৩ রানে ফেরেন। শুভমান গিল ও নীতীশ রাণা ৬৪ রান জোড়েন তৃতীয় উইকেটে। অমিত মিশ্রর বলে ২৮ রানে আউট হন গিল। তাঁর ব্যাট এ দিন বড় রানের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু অমিতের বলে চালাতে গিয়ে পন্থের হাতে ক্যাচ তুলে ডাগ আউটে ফিরতে হয় শুভমান গিলকে। এ দিকে আস্কিং রেট বাড়ছে, জিততে হলে দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে আগে পাঠানো দরকার, এই ধারণার বশবর্তী হয়েই রাসেলকে চার নম্বরে পাঠানো হয়েছিল। রাবাদার বলে ঠকে যান রাসেল। শেষের দিকে মর্গ্যান ও ত্রিপাঠী অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দিনটা ছিল দিল্লির।
NEWS from Sharjah - @KKRiders have won the toss and they will bowl first against @DelhiCapitals.#Dream11IPL #DCvKKR pic.twitter.com/adwmVP0giv