সতীর্থদের ধৈর্য ও কঠিন মানসিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দিলেন রহাণে, পূজারা। ফাইল চিত্র
দলে বিরাট কোহলী, রোহিত শর্মা আছেন। আছেন তরুণ শুভমন গিল। মিডল অর্ডারে ঝড় তোলার জন্য রয়েছেন ঋষভ পন্থ। তবে টেস্ট ক্রিকেটের নিরিখে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড হলেন অজিঙ্ক রহাণে ও চেতেশ্বর পূজারা। বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে এই দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে ছাড়া যে দল গড়া অসম্ভব। আগামী ১৮ জুন সাদাম্পটনের রোজ বোলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে অনুশীলনে মজে ভারতীয় দল। এর আগে বিসিসিআই-এর ওয়েবসাইটে আলাপচারিতায় টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট ব্যাটিংয়ের দুই বিশ্বস্ত সৈনিক। তাঁদের বক্তব্য আনন্দবাজার ডিজিটালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
অজিঙ্ক রহাণে: দুই বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আমাদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অভিযান শুরু হয়েছিল। এই দুই বছর আমরা একজোট হয়ে ধারাবাহিক ভাবে খেলেছি। সেই খেলাটাই ফাইনালে খেলতে হবে। আমরা সবাই ফাইনাল খেলার জন্য মরিয়া হয়ে আছি। এটা যেমন সত্যি, তেমনই এই ফাইনাল আমাদের কাছে অন্য ম্যাচগুলোর মতোই। কারণ সেই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামলে খোলা মনে খেলতে পারব। আর তাই আমরা নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। তারপর ফলাফল যা হবে সেটা দেখা যাবে।
চেতেশ্বর পূজারা: ব্যক্তিগত ভাবে আমি এই ম্যাচটা খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। কারণ আমি দেশের হয়ে এক ধরনের ক্রিকেট খেলে থাকি। গত দুই বছর অনেক লড়াই করে এই জায়গায় এসেছি। তাই ফাইনাল হাতছাড়া করতে রাজি নই। তবে একই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল খেলার সুযোগ পাওয়া কিন্তু বড় সাফল্য। এই ফাইনাল ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হতে চলেছে। কারণ বিলেতের আবহাওয়া বড্ড খামখেয়ালি। অনুশীলন ও ম্যাচের মধ্যে বৃষ্টির জন্য বিরতি আসে। ফলে সাজঘর থেকে ফের ক্রিজে গিয়ে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া মোটেও সহজ নয়। এখানে সাফল্য পেতে হলে শারীরিক সক্ষমতার সঙ্গে মানসিক জোর ও ধৈর্য দরকার। সেটা যে দলের ব্যাটসম্যান দেখাতে পারবে সে এই ফাইনালে রাজত্ব করবে।
রহাণে: টেস্ট ক্রিকেট সবচেয়ে কঠিন মঞ্চ। ইংল্যান্ডে খেলা তো আরও কঠিন। এখানে রান করতে গেলে শরীরের কাছ থেকে বলের মোকাবিলা করতে হবে। বলকে তাড়া করলে চলবে না। যত সম্ভব ব্যাকফুটে খেলতে হবে। আর একটা কথা মনে রাখা উচিত। বিলেতে ব্যাট করার সময় ‘সেট’ বলে কিছু হয় না। প্রতিটা বল খেলার সময় ব্যাটসম্যান যেন মনে করে সে শূন্য থেকে শুরু করছে। তাহলেই মিলবে সাফল্য। ধৈর্য হারালেই কিন্তু বোলাররা দাপট দেখাতে শুরু করবে।
পূজারা: ফাইনালের আগে দুটো খেলে ফেলার জন্য নিউজিল্যান্ড অবশ্যই বাড়তি সুবিধা পাবে। তবে সেটা হল আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুবিধা। তাই আমরা সেটা নিয়ে একদম ভাবছি না। কারণ এই ব্যাপারটা আমাদের হাতে মোটেও নেই। ফাইনালের আগে আমরাও ১০-১২ অনুশীলন করছি। নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ খেলে তৈরি হচ্ছি।
রহাণে: গত অস্ট্রেলিয়া সফর আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করার পাশাপাশি প্রথম টেস্ট হেরে গিয়েও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিলাম। সেই সিরিজ জয় অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তবে এটাও সত্যি যে অস্ট্রেলিয়া সফর এখন আমাদের কাছে অতীত। তাই সবাই ফাইনাল নিয়েই ভাবছি।