ক্রিজে রাহুল এবং রোহিত। ছবি টুইটার
বৃহস্পতিবার ব্যাটিং ব্যর্থতা সত্ত্বেও দিনের শেষে জো রুটের উইকেট তুলে নিয়ে বিরাট কোহলীর মুখে ঝলমল করছিল হাসি। শুক্রবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সেই হাসি কিছুটা ম্লান। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড তাদের থেকে প্রায় একশো রানে এগিয়ে গেল। তবে দিনের শেষে ভারতের দুই ওপেনার সেই ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন ৫৬ রানে। ভারতের হাতে এখনও দশটা উইকেট রয়েছে। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ২৯০ রানের জবাবে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩-০। ফলে জমে গিয়েছে ম্যাচ।
শুক্রবার ভারতের কাছে সব রকম সম্ভাবনা এবং সুযোগ ছিল কম রানে ইংল্যান্ডকে বেঁধে রাখার। সেটা হল না মূলত দু’টি কারণে — অলি পোপের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব এবং মাঝের কিছু ওভারে ভারতের এলোমেলো বোলিং। প্রথম দিনে রুট ফিরে যাওয়ায় মনে করা হয়েছিল ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ডই ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু পোপ এসে হিসেব উল্টে দিলেন। দিনের শুরুতেই নাইট ওয়াচম্যান ক্রেগ ওভার্টন এবং ক্রিজে জমে যাওয়া দাভিদ মালানকে ফিরিয়ে দিয়েছিল ভারত। কিন্তু পোপের ব্যাটিংয়ের কোনও উত্তর ছিল না তাদের কাছে।
একদিকে যেমন ভারতীয় বোলারদের উপরে চড়াও হয়েছিলেন পোপ, অন্যদিকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন কখনও জনি বেয়ারস্টো, কখনও মইন আলি। ৬২ রানে ইংল্যান্ডের পঞ্চম উইকেটের পতনের পর বেয়ারস্টোর সঙ্গে দলের হাল ধরেন পোপ। দু’জনে মিলে ৮৯ রানের জুটি গড়েন। মাঝে ইংরেজ সমর্থকের মাঠে ঢুকে খেলা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও তাঁদের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। বেয়ারস্টোকে সিরাজ ফেরানোর পর নামেন মইন। ব্যাট হাতে তিনি বরাবরই দরকারের সময়ে কাজে আসেন। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। পোপ একদিকে ধরে খেলছিলেন, মইন আর একদিকে সুযোগ পেলেই বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাচ্ছিলেন।
ক্রমশ শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন পোপ। কিন্তু মইন ফেরার পর বেশিক্ষণ তিনিও টানতে পারেননি। ৮১ করে সাজঘরে ফেরেন শার্দূল ঠাকুরের দুর্দান্ত বলে। তবে শেষ রাতে ওস্তাদের মার দেন ক্রিস ওক্স। ভারতের প্রথম ইনিংসে যদি শেষ বেলায় নায়ক হন শার্দূল, তাহলে ইংল্যান্ডের হয়ে সেই ভূমিকা নেন ওক্স। ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে ৬০ বলে ৫০ করে আউট হন। ততক্ষণে ইংল্যান্ডের প্রায় একশোর কাছাকাছি লিড নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
ওভালের উইকেট ক্রমশ ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ওপেনারদের খেলাতেই সেটা বোঝা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের চাপে ফেলতে পারেননি ইংরেজ বোলাররা। শনিবার যদি বিপক্ষের উপর বড় রান চাপাতে পারেন কোহলীরা, তাহলে চাপে পড়বেন রুটরা। আপাতত ভারতীয় সমর্থকদের প্রার্থনা, আর যেন ব্যাটিং ধস না হয়।