ফের দ্বন্দ্ব মণিকা-সৌম্যদীপের।
জাতীয় টেবিল টেনিস দলের বাঙালি কোচ সৌম্যদীপ রায়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটা করানোর মারাত্মক অভিযোগ আনলেন মণিকা বাত্রা। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া এই খেলোয়াড়ের বক্তব্য, মার্চ মাসে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনকারী একটি ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন সৌম্যদীপ।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে গিয়েও জাতীয় কোচ সৌম্যদীপের সাহায্য নিতে না চাওয়ার জন্য মণিকাকে কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছিল জাতীয় টেবিল টেনিস সংস্থা। শুক্রবার তার উত্তর দিয়েছেন মণিকা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে যে ব্যক্তি তাঁকে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তাঁর থেকে অলিম্পিক্স ম্যাচের আগে পরামর্শ নিতে চাননি তিনি।
মণিকা লিখেছেন, “২০২১-এর মার্চে দোহায় অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনকারী প্রতিযোগিতায় আমায় চাপ দিয়ে ওঁর ছাত্রীর বিরুদ্ধে ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেছিলেন জাতীয় কোচ, যাতে ওঁর ছাত্রী অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেন। তাই অলিম্পিক্সে যাতে শেষ মুহূর্তে মনঃসংযোগে কোনও ব্যাঘাত না হয় তার জন্য জাতীয় কোচকে ছাড়াই খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
মণিকার সংযোজন, “আমার কাছে এই অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে এবং যথাসময়ে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সেটি জমা দেব। ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার হোটেলের ঘরে এসে অন্তত ২০ মিনিট কথা বলেন জাতীয় কোচ। দেশের স্বার্থের দোহাই দেখিয়ে উনি অন্যায় ভাবে ওঁর ছাত্রীকে তুলে ধরতে চাইছিলেন। সেই সময় ওঁর সঙ্গে সেই ছাত্রীও ছিল, যে জাতীয় কোচের অ্যাকাডেমিতেই অনুশীলন করে। আমি ওঁর কথা শুনিনি এবং জাতীয় টেবিল টেনিস সংস্থার এক আধিকারিককে ঘটনার ব্যাপারে জানাই। তবে উনি যে ভাবে চাপ দিচ্ছিলেন তাতে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। অলিম্পিক্সে তাই ওঁর থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলাম।”
সৌম্যদীপের সঙ্গে সংবাদ সংস্থার তরফে যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি। জাতীয় সংস্থার সচিব অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সৌম্যদীপের কাছে এই অভিযোগের জবাব চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি অপেক্ষা করছে।