আলোচনায় ব্যস্ত বিরাট এবং রাহানে। ছবি: পিটিআই
৪ ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হার। তার পর দাপটের সঙ্গে সিরিজে ফিরে আসা এবং জয়। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তো এমনই দেখেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও কি ঘটবে তেমনই কিছু? আশায় বুক বাঁধছেন ভক্তরা।
কী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সফরে? প্রথম টেস্টে ৩৬ রানে ইনিংস শেষের লজ্জা এবং ম্যাচে হার। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে বিরাটের ৭৪ রান এবং অঘটনের রান আউট। সেই ধাক্কা যেন আর সামলে উঠতেই পারল না ভারত। গোলাপি বলের টেস্টে হার বিরাটদের। সবার আশঙ্কা ছিল সিরিজে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে অজিঙ্ক রাহানেদের। সেখান থেকেই ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়াল ভারত।
মেলবোর্নে অধিনায়ক রাহানের শতরান। অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া লড়াই এখনও বাকি। যুদ্ধ যেন শুরু হল সেখান থেকেই। সিডনির মাঠে মেজাজ হারালেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেন। বাকযুদ্ধ চলল ব্যাটসম্যান রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে। শেষ দিনে যেন এক লড়াই জিতে ম্যাচ ড্র করলেন অশ্বিন এবং হনুমা বিহারী।
তার পর এল গাব্বায় টেস্ট এবং সিরিজ জয়। কাণ্ডারি ছিলেন শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্থ। শেষ ইনিংসে প্রথমে শুভমনের ৯১ রানের ইনিংস এবং শেষে ৮৯ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরা পন্থ। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটাররা তৈরি বিদেশের মাটিতে ম্যাচ জিততে। ৩ উইকেটে গাব্বার মাটিতে জয় তুলে নেয় ভারত।
অ্যাডিলেডে হারের পর ৪ নয়, অস্ট্রেলিয়ায় ৩ ম্যাচের সিরিজ ভেবে খেলেছিলেন রাহানেরা, এমনই জানিয়েছিলেন তাঁরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তেমনই কিছু ঘটাতে চাইবেন বিরাটরা। ঘরের মাঠে প্রধান ক্রিকেটারদের পেয়েও সিরিজ জিততে না পারলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে বিরাটের নেতৃত্ব নিয়েও।