হতাশ কোহালি। ছবি: পিটিআই
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২-১ সিরিজ জিতে দেশের মাটিতে আত্মবিশ্বাসী হয়েই নেমেছিল ভারত। দলে বিরাট ফেরায় সেই আত্মবিশ্বাস আরও খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল দলের। জিতবেন ভেবেই যেন চেন্নাইয়ের মাঠে খেলতে নেমেছিলেন বিরাটরা, কিন্তু অন্যরকম ভাবনা ছিল জো রুটদের। বেন স্টোকস বলেছিলেন রুটের শততম টেস্টে তাঁকে জয় উপহার দিতে চায় দল। সেই কথাই রাখলেন স্টোকস মঙ্গলবার বিরাটকে ফিরিয়ে দিয়ে। পঞ্চম দিনে ভারতের ইনিংস শেষ ১৯২ রানে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেলেন দ্বিশতরান করা রুট।
পঞ্চম দিনের শুরুতে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ের জন্য ভারতীয় সমর্থকরা যাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলেন, সেই চেতেশ্বর পূজারাকে ফিরিয়ে দেন জ্যাক লিচ। বিরাট এবং শুভমন গিল যদিও মরিয়া লড়াই শুরু করেছিলেন। শেষ রক্ষা হল না জেমস অ্যান্ডারসনের আগুনে স্পেলের কারণে। এক ওভারে প্রায় একই ভাবে অফ স্টাম্প উড়িয়ে দিলেন শুভমন এবং রাহানের। ব্যাটসম্যান রাহানে ২ ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন। ঋষভ পন্থ ছিলেন নিজের ছন্দেই। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তাঁকেও ফিরিয়ে দেন অ্যান্ডারসন। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ওয়াশিংটন সুন্দরও।
ভারতের আশা তখনও বেঁচে ছিল বিরাট এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাট ঘিরে। ৫৪ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ক্ষীণ আশার আলো যখন সবে দেখতে শুরু করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা, হনুমা বিহারী এবং অশ্বিনের সিডনি টেস্টের লড়াই যখন স্মৃতিতে উঁকি দিচ্ছে, তখনই বিপদ ঘটালেন লিচ। অশ্বিন ভেবেছিলেন বলটা ঘুরবে। কিন্তু তা হয়নি। সেই অনুযায়ী খেলতে গিয়ে ব্যাট ছুঁয়ে বল ধরা পড়ে উইকেটকিপার জস বাটলারের হাতে।
বিরাটের উইকেট নেন স্টোকস। মাটি ছুঁয়ে যতটা উঠবে ভেবেছিলেন বিরাট, পঞ্চম দিনের পিচে বল ততটা ওঠেনি। অফ স্টাম্প ছিটকে যায় ভারত অধিনায়কের। ভারতের আশাও শেষ হয়ে যায় ওখানেই। এর পর ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা। চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই ভারতকে অল আউট করে সিরিজ এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।