সচিন তেন্ডুলকর। -ফাইল চিত্র।
সাদা বলের ক্রিকেট শেষ। এ বার সামনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪ টেস্টের সিরিজ। আর সেই সিরিজে চোট সারিয়ে ওঠা রোহিত শর্মাকে খেলতে দেখতে চাইছেন সচিন তেন্ডুলকর।
সংবাদ সংস্থাকে সচিন বলেছেন, “আমি জানি না এখন রোহিতের ফিটনেস কেমন। এটা বিসিসিআই আর রোহিতই জানে। ওরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছে। ফিজিয়ো ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও নিশ্চয়ই কথা হচ্ছে। রোহিতের ব্যাপারে ওরাই ঠিকঠাক বলতে পারবে। তবে রোহিত যদি সমস্ত ফিটনেস টেস্ট পাশ করতে পারে, তাহলে ওর মতো ক্রিকেটারের অস্ট্রেলিয়ায় থাকা উচিত। যদি সমস্ত কিছু ঠিক থাকে তবে রোহিতকে নিয়ে যাওয়া উচিত।”
বিরাট কোহালির প্রথম টেস্টের পর দেশে ফিরে আসাকে বাকিদের কাছে সুযোগ বলে চিহ্নিত করেছেন সচিন। বলেছেন, “কোনও সন্দেহ নেই যে বিরাটের অভাব অনুভূত হবে। কিন্তু এটা ব্যক্তি নয়, দলগত খেলা। কেউ তো চোট পেয়েও না খেলতে পারে। আমার বক্তব্য হল দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যখন চোট পায়, তখন তাকে ছাড়াই খেলতে হয়। একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলের প্রধান বোলার অনিল কুম্বলেকে ছাড়াই আমরা খেলেছিলাম টেস্ট। তাই বিরাট না থাকলেও দল তো খেলবে। আর আমাদের যোগ্য পরিবর্তরা রয়েছে, এটা বড় শক্তি। এটা কোনও তরুণের কাছে দারুণ সুযোগও।”
আরও পড়ুন: বোর্ডের বার্ষিক সভায় সৌরভই সভাপতি, পদ নিয়ে পরবর্তী শুনানি জানুয়ারিতে
ইশান্ত শর্মার অনুপস্থিতিও একই ভাবে দেখছেন সচিন। এই পরিস্থিতিতে কী টি নটরাজনকে টেস্ট দলের অন্তর্ভুক্ত করা যায়? সচিন বলেছেন, “যতগুলো ম্যাচ খেলেছে ও ভাল বল করেছে। তবে এটা নির্বাচকদের ও টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। ওরাই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আমি প্রভাবিত করায় বিশ্বাসী নই।”
সচিন মনে করছেন, গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট পরে হলেই সুবিধা হত ভারতের। তাঁর কথায়, “তৃতীয় বা চতুর্থ টেস্ট যদি গোলাপি বলে খেলতে হত, তবে নিশ্চিত ভাবেই সুবিধা হত। কারণ আমরা দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলছি। তাই পরিচিত সময় ও কন্ডিশন পেলেই ভাল হত। দিন-রাতের টেস্টের সময়ও তো আলাদা।”