East Bengal

East Bengal: ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ পুলিশের, গ্রেফতার চার, আহত সাংবাদিকরাও

পুলিশের বক্তব্য, লাঠি চালাতে চায়নি তারা। কিন্তু প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে রাখা হয়েছিল। বারবার বলা স্বত্ত্বেও রাস্তা খালি করা হয়নি। ফলে তারা লাঠি চালাতে বাধ্য হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২১ ১৮:২৬
Share:

সমর্থকদের বাদানুবাদ। নিজস্ব চিত্র

ইস্টবেঙ্গল তাঁবুর সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশকে লাঠিও চালাতে হয়।

Advertisement

বুধবার বিকেলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ) আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ‘‘আমরা একেবারেই লাঠি চালাতে চাইনি। কিন্তু প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে রাখা হয়েছিল। বারবার বলা স্বত্ত্বেও রাস্তা খালি করা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়। মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’

কোভিডবিধি মানা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছে পুলিশ। সেই কারণেও বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। গ্রেপ্তার করা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার ভিডিয়ো করছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

লাঠি চালানোর অন্তত ৪০ মিনিট আগে ডিসি সাউথ মাইকে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘‘আপনারা দয়া করে রাস্তা খালি করে দিন। এখান থেকে সরে যান। আপনাদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন, যিনি গুরুতর অসুস্থ। তাঁর কিছু হলে দায় আপনাদেরই।’’

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গেও বচসা বাঁধে পুলিশের। অভিযোগ, সাংবাদিকদের গায়ে হাত দিয়েছে পুলিশ। এর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়।

২১ জুলাই যে বড় কিছু হতে চলেছে, তার আভাস আগে থেকেই ছিল। সেই মতো ক্লাবকর্তাদের বিরোধী সমর্থকরা দুপুর ১টার আগে থেকে জড়ো হতে শুরু করেন। পাল্টা জড়ো হচ্ছিলেন ক্লাবকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সমর্থকরাও। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছিলেন। এক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দু’পক্ষের বাদানুবাদ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে হাতাহাতিতে। ঝামেলা হবে, এমন অনুমান করে আগে থেকেই মোতায়েন করা ছিল পুলিশ-বাহিনী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement