জুয়ান ফেরান্দো। ফাইল ছবি।
এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামলেও নিজের দলকে এগিয়ে রাখতে নারাজ এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো। সতর্ক মোহনবাগান কোচের কথায়, ঘরের মাঠ আর সমর্থকদের উপস্থিতি ছাড়া কিছুই তাদের অনুকূল নয়।
গ্রুপ পর্বে সবুজমেরুন ব্রিগেডকে খেলতে হবে গোকুলাম কেরালা এফসি, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি-র বিরুদ্ধে। ধারে-ভারে এই তিন দলের থেকেই এগিয়ে মোহনবাগান। তবু, ফেরান্দোর গলায় প্রতিপক্ষদের প্রতি সমীহের সুর। যদিও নকআউট পর্বের ছাড়পত্র পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। ফেরান্দোর কথায় প্রতিপক্ষ দলগুলি তাদের দেশের সেরা ক্লাব। গোকুলামও সদ্য আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারাও বেশ ভাল ছন্দে রয়েছে। তাই নিজেদের এগিয়ে রাখার কোনও মানেই হয় না।
প্রায় এক মাস পরে প্রতিযোগিতা মূলক ফুটবল খেলবে মোহনবাগান। মাঝের এই সময় কেমন হয়েছে দলের প্রস্তুতি? স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, ‘‘দলের প্রস্তুতি ভাল হয়েছে। প্রথম ম্যাচ সবসময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি ছেলেরা খেলাটা উপভোগ করবে। মাঠে সমর্থকেরা থাকবেন। তাঁদের উপভোগ্য খেলা উপহার দিতে হবে আমাদের। এএফসি কাপই এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’ ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলা সুবিধার হলেও কোনও প্রতিপক্ষকেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না ফেরান্দো। মোহনবাগান কোচের সাফ কথা, ‘‘সব দলই বেশ ভাল। তিন পয়েন্ট পেতে হলে আমাদের পরিশ্রম করতেই হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে।’’
কৌশল, পরিকল্পনার পাশাপাশি আবেগ এবং প্রত্যাশার চাপও ফুটবলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ফেরান্দো। তিনি বলেছেন, ‘‘নিজেদের উপর আস্থা রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলা সম্পূর্ণ অন্যরকম বিষয়। মাত্র তিনটে ম্যাচেই প্রতিযোগিতায় আমাদের ভবিষ্যত ঠিক হয়ে যাবে। তাই কৌশলের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ছেলেদের মানসিক শক্তিও।’’ বুধবার প্রথম ম্যাচে রয় কৃষ্ণর খেলার সম্ভাবনা আছে বলে জানালেও প্রথম একাদশ সম্পর্কে ম্যাচের দিন সকালেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
ছয় দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হওয়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন ফেরান্দো। কারণ কোনও ফুটবলারের চোট লাগলে সুস্থ করার সময় প্রায় নেই। দলের পরিকল্পনা বা কৌশল নিয়ে কিছু বলতে চাননি মোহনবাগান কোচ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার দলে সবাই ভাল ও সমান দক্ষতার খেলোয়াড়। কাউকো না খেলতে পারলে হুগো খেলে দেয়। হুগো না পারলে অন্য কেউ খেলে দেবে। শুভাশিস যেমন মাঝে মাঝে লেফট ব্যাক হিসেবে খেলে।’’