বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ও মাহমুদুল। ছবি: বিসিবি
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় বাংলাদেশ। সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানের জবাবে তৃতীয় দিনের খেলার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৩১৮।
তামিম ইকবালের শতরানের সুবাদে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভাল জায়গায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় আয়োজকদের রান ছিল ৭৬। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং তামিম অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ৩১ ও ৩৫ রানে। মঙ্গলবার সকালেও ভাল শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার। কিন্তু অর্ধশতরান পূর্ণ করার পর বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না মাহমুদুল। আসিথা ফার্নান্ডোর বলে আউট হলেন ৫৮ রান করে। প্রথম উইকেটের জুটিতে বাংলাদেশ তুলল ১৬২ রান। উইকেটের অন্য প্রান্তে লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তামিম। ব্যক্তিগত ১৩৩ রানের মাথায় পায়ের পেশিতে টান ধরায় আর ব্যাট করতে পারেননি তিনি। অবসৃত হয়ে মাঠ ছাড়েন। আর ১৯ রান করলে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রানের মাইল ফলক স্পর্শ করবেন তামিম।
শুরুর দুই ব্যাটার দারুণ খেললেও তিন এবং চার নম্বরে নামা বাংলাদেশের দুই ব্যাটারই ব্যর্থ হলেন। নাজমুল হোসেন (২) এবং অধিনায়ক মোমিনুল হককে পর পর সাজঘরে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ল়ড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন কাসান রাজিথা। ব্যাট করার সময় মাথায় চোট পাওয়া বিশ্ব ফার্নান্ডো এই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। তাঁর কনকাসন সাব হিসেবে প্রথম একাদশে এসেছেন রাজিথা।
পর পর দু’উইকেট হারিয়ে বিনা উইকেটে ১৬২ রান থেকে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৮৪। তখনও অবশ্য হাল ধরে রেখেছিলেন তামিম। তিনি আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার পর বাংলাদেশের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস। এই দুই ব্যাটার অপরাজিত রয়েছেন যথাক্রমে ৫৩ এবং ৫৪ রান করে। তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠেছে ৯৮ রান। শ্রীলঙ্কার কোনও বোলারই বাংলাদেশের ব্যাটারদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্টের এখনও বাকি দু’দিন। চতুর্থ দিন আয়োজকরা বড় ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারলে জয়ের জন্য ঝাঁপাতেই পারেন ম্যাচের শেষ দিনে। যদিও প্রথম ইনিংসের রানের নিরিখে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে ৭৯ রানে।